বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির। প্রবাসী পাকিস্তানিদের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে আক্রমণ শানান জেনারেল মুনির। তিনি দাবি করেছেন যে পাকিস্তান কখনই কাশ্মীরকে (পাকিস্তান থেকে) আলাদা হতে দেবে না। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে ভারত বারংবার বলে এসেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের একটা অংশ পাকিস্তাম অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে। এরই সঙ্গে ভারতের স্পষ্ট বার্তা - 'ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, আছে এবং থাকবে'। (আরও পড়ুন: 'নকল ইমামদের কি ইমামি বলা যায়?' মমতার বৈঠকের ছবি দিয়ে প্রশ্ন BJP নেতার)
আরও পড়ুন: মন্দিরের সামনে থেকে ষাঁড় চুরি রুখতে গিয়ে 'খুন' পুলিশের চালক, জখম ২ পুলিশকর্মী
জেনারেল মুনির বলেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে পাকিস্তান বিনিয়োগ পাবে না। তাঁর কথায়, 'আপনার কি মনে হয় সন্ত্রাসীরা দেশের ভাগ্য কেড়ে নিতে পারবে? ১.৩ মিলিয়নের শক্তিশালী ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের ভয় দেখাতে পারে না, তাহলে কি আপনার মনে হয় এই সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে পরাজিত করতে পারবে?' (আরও পড়ুন: 'বিহারের মানুষ চায় না যে রাজ্যটা বাংলা হয়ে যাক', মমতার সরকারকে 'অপমান' মন্ত্রীর?)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে পেয়ে ভারতের সাথে 'শত্রুতা' বাংলাদেশের? ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিল্লির
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে সশস্ত্র বাহিনী বালোচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। জেনারেল মুনির বলেন, 'বালোচিস্তান পাকিস্তানের গর্ব। এত সহজেই কি এটা কেড়ে নেওয়া যাবে? ১০ প্রজন্মও এটা আমাদের থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা খুব শীঘ্রই এই সন্ত্রাসীদের পরাজিত করব। পাকিস্তানের পতন হবে না।' কাশ্মীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেনারেল মুনির বলেন, 'আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা থাকবে, আমরা এটাকে ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে একা ছেড়ে যাব না।' (আরও পড়ুন: টাইমের ১০০ প্রভাশালীর তালিকায় ইউনুস, নেই কোনও ভারতীয়, তবে আছে ভারত যোগ)
আরও পড়ুন: 'বাঙালি হিন্দুদের জন্যে হুমকি মমতা', ওয়াকফ হিংসার আবহে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের
পাক সেনা প্রধান বলেন, 'আনপাদের সন্তানদের এটা শেখাবেন যাতে তারা পাকিস্তানের ইতিহাস ভুলে না যায়। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম আলাদা, আমাদের রীতিনীতি আলাদা... আমাদের ঐতিহ্য আলাদা, আমাদের চিন্তাভাবনা আলাদা, আমাদের লক্ষ্য আলাদা, এটাই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি। আমরা দুটি জাতি, আমরা এক জাতি নই। আমরা এই দেশ তৈরি করার জন্যে অনেক আত্মত্যাগ করেছি। এবং আমরা জানি কীভাবে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে হবে। তাই নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে পাকিস্তানের ইতিাস বলতে ভুলবেন না। যাতে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের নাড়ির টান বজায় থাকে। ইতিহাসে মাত্র দু'টি দেশ 'কালমা'র ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। প্রথমটি হল - রিয়াসতে তৈবা। আজ যা মদিনা। আর দ্বিতীয়টি হল এই পাকিস্তান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, অর্থাৎ - আল্লাহ ছাড়া আর কোনও উপাস্য নেই এবং হজরত মহম্মদ আল্লাহর দূত।'