তিন বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ১৩ বছরের এক নাবালকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই শিশু। জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে শিশু এখনও কথা বলতে পারছে না। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের রায়পুরের। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত নাবালককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী যুবককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালকের বাড়ি শিশুর বাড়ির পাশেই অবস্থিত। তারা একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসা করত। সেই সূত্রে ঘটনার দিন নাবালক ওই শিশুর বাড়িতে যায়। জানা গিয়েছে, বাড়ির উঠোনে একা খেলছিল শিশুটি। তখন নাবালক তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। যেহেতু শিশু ওই নাবালকের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই খেলত, তাই সে আপত্তি জানায়নি। এরপর নাবালক তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এদিকে, শিশুটির বাবা-মা ঘুম থেকে উঠে মেয়ে দেখতে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা মেয়েকে খুঁজতে বের হন। এরপর রাস্তায় শিশুকে কাঁদতে দেখেন। তাছাড়াও শিশুর জামাকাপড় রক্তে ভেজা ছিল। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কিছু লোকজন মেয়েটিকে নাবালকের সঙ্গে দেখেছিল। এর পর আসল ঘটনা জানতেই তারা নাবালককে ধরে ফেলেন।
অন্যদিকে, শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে শিশুর পরিবার। তার ভিত্তিতে পুলিশ পকসো এবং জেজে (জুভেনাইল জাস্টিস) আইনে এফআইআর দায়ের করেছে। সেইসঙ্গে কিশোরকে আটক করেছে। নাবালককে হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।
একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পকসো এবং জেজে আইনের পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ৬৫ (৩) (১২ বছরের কম বয়সি নাবালিকাকে ধর্ষণ) আইনে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আরও তদন্ত চলছে। এদিকে, গত ৬ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী দুর্গ জেলায় ৬ বছর বয়সি এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তার কাকার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজ্যে।