ভুয়ো কাস্টমস অফিসার সেজে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ। কাঁচরাপাড়া জোনপুর এলাকা–সহ নানা জায়গা থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করে মিহির ঘোষ নামে এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করল জেঠিয়া থানার পুলিশ। এই মিহির ঘোষ কাউকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, আবার কাউকে কাস্টমস অফিসারের সুবাদে কম দামে সোনা বিক্রির নাম করে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে জোনপুর এলাকা। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। আর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই প্রতারক নানা মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে ভুয়ো কাস্টমস অফিসার নিজেকে আসল প্রমাণ করতে নীলবাতি লাগানো এসইউভি গাড়ি এবং পিস্তল রাখত। যা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই মিহির ঘোষ এমন কাজ করে যাচ্ছিল। বারাসাত থানা বেশ কিছুদিন আগে একবার এই অভিযুক্তের খোঁজ করছিল বলে খবর। তখনও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লেও নাগাল পাওয়া যায়নি। মিহির ঘোষ নানা জায়গায় বাড়ি পরিবর্তন করেছিল। নিজের পরিবারকে অন্য জায়গায় রেখে মিহির এই প্রতারণার কাজ করছিল। নানা অছিলায় টাকা চেয়ে নিত সে। আর সেই টাকা ফেরত দিত না। এমনকী যে কাজ করবে বলত সেটাও হতো না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘সৌদি আরবে গেলে কার সঙ্গে দেখা করেন?’, প্রধানমন্ত্রীকে মুসলিম বিরোধী তকমা মমতার
অন্যদিকে এই প্রতারণার কাজ করে সেখান থেকে চম্পট দিত মিহির ঘোষ। তাকে আর নাগালের মধ্যে পাওয়া যেত না। ভুয়ো নম্বর দিত সকলকে। তাই ফোন করলে শুনতে হতো, নম্বর ডাজ নট এক্সিস্ট। এখন দেখা হচ্ছে বাজেয়াপ্ত করা ওই পিস্তল, নীলবাতির বাড়ি সে কোথা থেকে পেয়েছিল। এতদিন ধরে কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে সে সকলের থেকে টাকা হাতিয়ে নিল কেমন করে? কেউ টের পেল না? এইসব প্রশ্ন এখন ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কিন্তু এসব কেমন করে সম্ভব হল সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তাছাড়া এই সমস্ত অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর মিহির ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে কম দামে সোনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে বাড়ি দেওয়ার কথা দিয়েও টাকা নিত সে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিপুল পরিমাণ টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। সে একা এই কাজ করেছে নাকি নেপথ্যে আরও কেউ যুক্ত সেটা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মিহির ঘোষের পরিবার তার সঙ্গে থাকতো না। তারা সবাই থাকেন গ্রামের বাড়িতে। আর এখানে এসে সে প্রতারণার কারবার খুলে বসেছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, মিহির ঘোষের গাড়িটাও নিজের নয়। ওটা ভাড়ার গাড়ি। আর সে নিজেই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এসব করত।