বোলপুরের এক স্কুলে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শতাব্দীপ্রাচীন বোলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুল চলাকালীন হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী তাকে হঠাৎ আক্রমণ করে এবং ব্লেড বা ধারালো কিছু দিয়ে হাত কেটে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। (আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সংযোজন, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের)
আরও পড়ুন: চাপড়ায় TMC কর্মীর হাতে আক্রান্ত কলেজের অধ্যক্ষ, আতঙ্কে ছাড়তে চান চাকরি
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে। তখন স্কুলে ক্লাস চলছিল। অভিযোগ, ওই ছাত্রী যখন বাথরুমে যায়, তখনই পিছন থেকে চোখ-মুখ চেপে ধরে তাকে মারধর করা হয়। এরপর ব্লেড বা ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে তার হাতে আঘাত করা হয়। আক্রান্ত ছাত্রী জানায়, হামলাকারীরা তাকে হুমকি দেয় যদি ঘটনা কাউকে জানানো হয়, তবে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ভয় পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওই ছাত্রী কোনওরকমে শিক্ষিকাদের কাছে ছুটে যায়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষকদের ঘরে। যদিও ঘটনার পর দীর্ঘ সময় স্কুলেই বসিয়ে রাখা হয় তাকে। (আরও পড়ুন: কসবা কলেজে এসব কী হত? ক্লাস থেকে মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যেত মনোজিৎ)
আরও পড়ুন: মহিলাদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,কবে থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বাড়তি টাকা
পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা জেনেও পুলিশে খবর দেয়নি। পরে ছাত্রীর অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়। ছাত্রীটি তখনও আতঙ্কে কাঁপছিল। পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যান বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় স্কুল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, এমন গুরুতর ঘটনায় দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। অনেকেই বলছেন, স্কুল ঘটনার গুরুত্ব বুঝেও বিষয়টি চেপে রাখতে চেয়েছে। এমনকি শিক্ষিকাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত ছাত্রীর বাবা বলেন, স্কুলে এমন ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারেননি। এখন মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। পরে সিদ্ধান্ত নেবেন কি করবেন। ঘটনা নিয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষিকা ফোন ধরেননি এবং মেসেজেরও জবাব দেননি। তবে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি কলকাতায় রয়েছেন, তবে বিষয়টি শুনেছেন। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, সত্য ঘটনা সামনে আসুক।