Water wastage: কলের মুখ না থাকায় অপচয় হচ্ছে পরিশ্রুত জল, রুখতে সমীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা

শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল অপচয়ের ছবি দীর্ঘদিনের। কোথাও কলের মুখ খোলা, তো কোথাও ট্যাপই নেই কলে। যার ফলে অবিরাম পরিশ্রুত পানীয় জল কল থেকে পড়ে অপচয় হচ্ছে। রাস্তার ধারের কলগুলিতে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। সম্প্রতি কলকাতায় জল অপচয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই জল অপচয় রুখতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। আরও পড়ুন: মমতার কড়া বার্তার পরেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজে তৎপর হল পুরসভাকেএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুর কমিশনার একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে জল অপচয় রুখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহর জুড়ে রাস্তার ধারে কলগুলিতে কোথায় মুখ লাগানো আছে বা কোথায় মুখ লাগানো নেই তা নিয়ে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। তারপরে কলগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। সেই অনুযায়ী, যে কলগুলিতে ট্যাপ লাগানো নেই সেগুলিতে ট্র্যাপের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় রাস্তার ধারে কলের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের মতো। সেই কলগুলি সমীক্ষা করবেন জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকরা। কোথায় কলে মুখ লাগানো নেই সমীক্ষা করার পর তথ্য সংগ্রহ করে পুর কমিশনারের কাছে তা পাঠাতে হবে। সে মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুরসভা।জল সরবরাহ দফতরের ডিজিকে এলাকাভিত্তিক সমীক্ষা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জল অপচয় রুখতে কলগুলিতে কী ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পুর কমিশনারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি মাসে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, জল অপচয় বন্ধ করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা । এর আগে স্ট্যান্ডপোস্ট থেকে জল অপচয়কে রুখতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও কলকাতায় জলের কলে মুখ না লাগানোর অভিযোগে দীর্ঘদিনের। তবে এক্ষেত্রে পুরসভার আধিকারিকদের বক্তব্য, অনেক জায়গাতে অতীতে জলের কলে মুখ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই কলগুলি থেকে কেউ বা কারা মুখ খুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। তাই এই অবস্থায় কলের মুখ চুরি রখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। পুরসভার আধিকারিকরাও মনে করেন, সকলেই সচেতন থাকলে তবেই জলের অপচয় বন্ধ করা যাবে।