আর তাঁদের নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিআরপি কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রবেশের অনুমতি যাতে মেলে তাই এই ব্যবস্থা। যদিও এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কোনও উওর দিতে পারছে না। কারণ তালিকায় নাম না থাকলে জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অতদূর পৌঁছনো সম্ভব নয়। দলের অন্দরেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে জয়কে নিয়ে।
নড্ডাকে দমদম বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু’দিন আগে রাজ্যে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বঙ্গ–বিজেপির একাধিক নেতা। তারই মধ্যেই দেখা যায়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতাকে। এবার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি। শনিবার রাতে নড্ডাকে দমদম বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনেই পরস্পরকে নমস্কার করে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন। তা নিয়েই এখন তুঙ্গে গুঞ্জন।
কোন দলে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়? কিছুদিন আগে শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছিল জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বঙ্গসফরে জয়ের সক্রিয়তা এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সূত্রের খবর, জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়কে এভাবে দেখে হতবাক হয়ে যান বিজেপির নেতারাই। সেদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই হঠাৎ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়ে যাওয়ায় সবাই চমকে যান।
নড্ডাকে স্বাগত জানাতে জয় গেলেন কী করে? নিয়ম অনুযায়ী, নয়াদিল্লি থেকে কোনও শীর্ষ নেতা এলে স্বাগত জানাতে কারা যাবেন, সেটা ঠিক করে দেয় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আর তাঁদের নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিআরপি কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রবেশের অনুমতি যাতে মেলে তাই এই ব্যবস্থা। যদিও এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কোনও উওর দিতে পারছে না। কারণ তালিকায় নাম না থাকলে জয় বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অতদূর পৌঁছনো সম্ভব নয়। দলের অন্দরেই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে জয়কে নিয়ে।