বিধানসভা ভোটের আগে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাওড়া সদরের দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সেই বৈঠকেই ফের সামনে এল হাওড়া পুরসভায় টানা সাত বছর ভোট না হওয়ার প্রসঙ্গ। দলের অন্দরেই উঠে এল অভিযোগ, নির্বাচনের অভাবে শহরে নিত্যদিনের পুরপরিষেবা ভেঙে পড়েছে, আর তার প্রভাব পড়ছে সরাসরি মানুষের জীবনে। বৈঠকে অভিষেক আশ্বাস দেন, এই ইস্যুতে তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: কাজে ঢিলেমি নয়, ব্লক, টাউন নেতৃত্বে কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে রদবদলের ইঙ্গিত অভিষেকের
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সর্বশেষ পুরভোট হয়েছিল হাওড়ায়। তার পর থেকে একাধিক আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে আছে নির্বাচন। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকার হাওড়া পুরসভাকে বালি পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করে বিল পাশ করে। কিন্তু তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাতে অনুমোদন দেননি। পরবর্তীতে আবার বালিকে পৃথক করার জন্যও নতুন বিল পাশ হয়। কিন্তু সেটিও নানা জটিলতায় কার্যকর হয়নি। ফলে ২০১৮ সাল থেকে বকেয়া পড়ে রয়েছে পুরনিগমের ভোট। এই দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তার মধ্যে কার্যত কাউন্সিলরশূন্য অবস্থায় চলছে হাওড়া পুরসভা। নাগরিক সমস্যার সমাধানে যে প্রতিনিধি-ব্যবস্থা সবচেয়ে জরুরি, তা না থাকায় প্রশাসনিক শূন্যতা প্রকট হচ্ছে। গত মার্চে বেলগাছিয়া ভাগাড় বিপর্যয়ের ঘটনায় সেই শূন্যতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে সম্প্রতি বালি পুরসভায় নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। তবে এই পদক্ষেপে হাওড়ার তৃণমূল শিবিরের একাংশের মধ্যে অসন্তোষও বাড়ছে।