ওএসডির নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়তেই ফোঁস করে উঠলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দাবি করে ফিরহাদের ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ (OSD) কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা তুলতেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই কলকাতায় মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী দাবি করেন যে তাঁর কানে কখনও এরকম অভিযোগ আসেনি। আর অভিযোগ থাকলে থানায় না গিয়ে আগে তাঁকে জানানো যেত। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, কারও বিরুদ্ধে যদি ভিত্তিহীন অভিযোগ ওঠে, তাহলে কীভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরিয়ে দেবেন? আর সেই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সরাসরি অভিষেকের অফিসের অভিযোগ খণ্ডন করে দিলেন ফিরহাদ?
‘আমি আগে এটা কখনও শুনিনি'
সেটা অবশ্য খোলসা করেননি ফিরহাদ। তাঁর ওএসডির নামে যে অভিষেকের কার্যালয় থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই খবর শোনার পরই ফিরহাদ বলেন, ‘আমি আগে এটা কখনও শুনিনি। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আমায় দিত। আমি তদন্ত করাতাম। এই ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। এই ব্যাপারে আমি কিচ্ছু জানি না। আপনার কাছেই শুনলাম।'
‘আমায় বলতে পারত তো’
সেইসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় কিছুটা হতাশাপ্রকাশও করেছেন ফিরহাদ। কলকাতার মেয়র বলেন, 'যদি এরকম কোনও অভিযোগ থাকত, তাহলে আমায় বলতে পারত তো। একজন মানুষের নামে এমন কোনও অভিযোগ যদি আসে, যে অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই, তাঁকে কীভাবে সরিয়ে দেব আমি?’
দলের তরফে আপাতত কিছু বলেনি তৃণমূল
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের তরফে দলগতভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। অভিষেকও সরাসরি কিছু বলেননি। সূত্রের খবর, কালীচরণের বিরুদ্ধে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিষেকের কার্যালয়ের এক কর্মী। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ফিরহাদের ওএসডি। তিনি জানিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি। কলকাতার মেয়রই যা বলার, সেটা বলবেন।
কীভাবে অভিযোগ সামনে এল?
সূত্রের খবর, সম্প্রতি অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটে কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে দাবি করা হয় যে অভিষেকের নামের অপব্যবহার করে টাকা তুলছেন ফিরহাদের ওএসডি কালীচরণ। আর একটা বিচ্ছিন্ন অভিযোগ জমা পড়েনি। একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেকের কার্যালয়ের তরফে শেক্সশিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এখনও এফআইআর রুজু করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে আপাতত পুলিশের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।