রিপোর্ট দেওয়া হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেই রিপোর্ট দেখে অভিযুক্ত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএফআইও’কে এফআইআর দায়ের করার জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দেন। তারপরই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
তিন জায়গায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আজ, মঙ্গলবার সাতসকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তিন জায়গায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২/১ ব্রাইট স্ট্রিট, বালিগঞ্জে সুনীল ঝুনঝুনওয়ালার বাড়িতে ইডি অভিযান চাসলায়। জুটমিলের মালিক সুনীল ঝুনঝুনওয়ালা। ইডি আজ হাওড়ার সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিল, বালিগঞ্জে জুটমিল মালিকের বাড়ি এবং কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে ‘ডেল্টা’ সংস্থার অফিসে হানা দেয়। জুটমিলে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলায় একাধিক জায়গায় ইডি হানা দিয়েছে।
এদিকে জুটমিলে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলায় একাধিক জায়গায় ইডি আজ হানা দিয়েছে। মঙ্গলবার সাঁকরাইল ডেল্টা জুটমিলে ও বালিগঞ্জে জুটমিলের মালিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। আর কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে জুটমিলের অফিসেও তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি অফিসাররা। আগেই এই মামলায় ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে পিএফের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন জুটমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা। ২১ কোটি টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
অন্যদিকে ‘ডেল্টা লিমিটেড’ এবং ‘ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড’ এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এই পিএফ খাতে প্রায় ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ওই মামলাতেই দুই সংস্থার পাঁচজন ডিরেক্টরকে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসকে (এসএফআইও) বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তারপর গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন।
তারপর রিপোর্ট দেওয়া হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেই রিপোর্ট দেখে অভিযুক্ত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএফআইও’কে এফআইআর দায়ের করার জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দেন। তারপরই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইডি। পিএফ দুর্নীতির মামলায় বড় এবং প্রভাবশালী মাথা যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি এজলাসে বলেছিলেন, ‘ওঁরা আমার বদলিও করে দিতে পারেন। কিন্তু আমি এই সব বরদাস্ত করব না।’