কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে অপরাধমূলক আদালত অবমাননা বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে সেদিন আইনজীবীদের ওপর লাঠিচালনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে আদালত। গোটা ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে।
গত ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের পাশে নিজের চেম্বারে শারীরশিক্ষা - কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের হেনস্থার শিকার হন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যসহ তাঁর সহকারী ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত দাশগুপ্তরা। অভিযোগ বিক্ষোভের নামে আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়।
এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে প্রধান বিচারুপতির দ্বারস্থ হন বিকাশবাবু। সেই মামলা গ্রহণ করে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যয়, বিচারপতি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। সেই বেঞ্চে শুক্রবার শুনানি ছিল মামলাটির। এদিন অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চান বিচারপতিরা। নোটিশ পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
এদিনের শুনানিতে সেদিন আইনজীবীজের উপর লাঠি চালনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কলকাতা পুলিশের ৭ পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতিরা বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অপরাধমূলক আদালত অবমাননা হয়েছে। অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠাতে হবে। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে আদালত অবমাননার রুল জারি হবে। ঘটনার দিন হাইকোর্ট চত্বরের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।