ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। চলতি অর্থবছরেও ‘সমগ্র শিক্ষা মিশন’-এর কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেল না রাজ্য সরকার। প্রাপ্য টাকার দাবিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি কেন্দ্রের এই মনোভাবকে ‘অগণতান্ত্রিক’ এবং ‘স্বৈরাচারী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। (আরও পড়ুন: দ্বিধায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা, হাওড়া-সল্টলেক পরিষেবা চালু হতে পারে…)
আরও পড়ুন: সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র, বিধানসভায় ৩২৮৮ কোটি বঞ্চনার তথ্য ব্রাত্যর
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবছরে কেন্দ্রের কাছ থেকে সমগ্র শিক্ষা মিশন বাবদ রাজ্য সরকারের ২০০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্র সরকার তার অনুমোদন দেয়নি। ইতিমধ্যেই এই টাকার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং শিক্ষা সচিব বেশ কয়েকবার কেন্দ্রের কাছে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি। পরে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। তাতেও ফল মেলেনি। (আরও পড়ুন: ইউনুসের ব্যর্থতা উসকে বিতর্কের আগুন জ্বালেন সেনা প্রধান, তাতে ঘি ঢাললেন উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: পানাগড়ে সুতন্দ্রার দুর্ঘটনার পর কেন পালিয়ে যান? মুখ খুললেন সাদা গাড়ির চালক
জানা যাচ্ছে, এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই প্রকল্পে রাজ্যের পাওনা ছিল ১৬৩২ কোটি টাকা। সেখানে রাজ্য পেয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে ১৬৩২ কোটি টাকা পাওনা থাকলেও বাংলা সেবার কোনও টাকা পায়নি। কেন্দ্রের বক্তব্য, সমগ্র শিক্ষা মিশনের সঙ্গে ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পকে যুক্ত করতে হবে। তবেই এই টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু, এই প্রকল্পকে যুক্ত করা হয়নি মিশনের সঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের মতে, শিক্ষায় যে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে টাকা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অনুপাত হল ৬০:৪০। তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত হবে কোনও প্রকল্পে? তাই নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। (আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড)
আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সেনসেক্সে পকেট ফুটো বিনিয়োগকারীদের, 'হাওয়া' ৭ লাখ কোটির বেশি
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিন দাম কমল সোনার, আজ কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে হলুদ ধাতু?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রকে এনিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এটা অগণতান্ত্রিক এবং স্বেচ্ছাচারী মনোভাব। তাঁর দাবি, বিজেপি বাংলায় ভোটে জিততে পারছে না বলে এই বঞ্চনা করে আসছে। তবে এরজন্য রাজ্যের শিশুদের বঞ্চিত করার কোনও অধিকার কেন্দ্রের নেই। অবিলম্বে টাকা দিতে হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। শিক্ষকদের সংগঠনও কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে এভাবে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না।