সেই ভাঙচুর নিয়ে বিরোধীরা সরাসরি অতীন ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। যদিও সেই মামলার তদন্তভার রয়েছে কলকাতা পুলিশের হাতে। এদিন সিবিআইয়ের তল্লাশি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। তদন্ত কোন দিকে এগোয়, সেই দিকেই নজর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।
অতীন ঘোষ. ডেপুটি মেয়র
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নয়া মোড়। শুক্রবার দুপুরে আচমকা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এমন ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে। আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি অতীন ঘোষকে সিবিআই আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
২০২৪ সালের অগস্টে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্যে। সেই ঘটনার তদন্ত চলাকালীনই সামনে আসে হাসপাতালের তহবিল ব্যবহারে দুর্নীতির অভিযোগ। আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ মিলতেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-কে তদন্তভার দেয়। সেই মামলাতেই গত বছর গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এখনও তিনি জেলবন্দি। তবে তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে আরও কয়েকজনের যোগ থাকার তথ্য মিলেছে। সেই তালিকায় নাম এসেছে অতীন ঘোষেরও।
শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। সিবিআই দলের নেতৃত্বে ছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সেই আধিকারিকও, যিনি কিছুদিন আগে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, অতীন ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস আগেই পাঠানো হয়েছিল। এই মামলায় সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে আলিপুর আদালতে। বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, আর্থিক দুর্নীতির জাল আরও বিস্তৃত। পাশাপাশি, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।