একুশে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। নিহত হয়েছিলেন অনেকেই। এছাড়াও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু বাড়ি। সেই ঘটনায় ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক। সেরকমই খেজুরিতে ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক। এখনও তাঁরা আতঙ্কে ঘরে ফিরতে পারছেন না। সেই সংক্রান্ত মামলায় তাঁদের ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খেজুরির শেরখান চকে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে হবে বলে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের ঘরে ফেরাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে হবে। তাঁদের ঘরে ফেরানোর পর গোটা এলাকায় ৮ জন পুলিশ কনস্টেবল তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া ঘরছাড়াদের এলাকায় সিসিটিভি লাগাতে হবে। পাশাপাশি সেখানে বিস্ফোরণের অভিযোগ থাকায় বিস্ফোরণের ধারাও যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, মামলা চলাকালীন সিসিটিভি ফুটেজ কোনওভাবে মুছে ফেলা যাবে না। সে বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের নির্দেশ মামলায় যারা অভিযুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।
প্রসঙ্গত খেজুরিতে ৬১ জন ঘরছাড়া রয়েছেন। তাদের পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। যদিও আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, যারা বাড়িতে নেই তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আবার অনেকেই ভিন রাজ্যে রয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এক সাধারণ কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম যুধিষ্ঠির দাস। সেই ঘটনায় খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী সুচিত্রা দাস। সেই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারের ভয়ে সেখান থেকে ৫ থেকে ৭টি পরিবার পলাতক রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তৃণমূলের দাবি, হামলা চালানোর পর গ্রেফতারের ভয়ে তাঁরা ঘর ছেড়ে নন্দীগ্রামে বাস করছেন। ওই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়া হয়নি বা কোনও ভয় দেখানো হয়নি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup