১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। একটি বছরের মোট দিনসংখ্যা ৩৬৫। সুতরাং এক সৌর বছর থেকে এক চন্দ্র বছরের মধ্যে ১১ দিনের তফাত ঘটে। এই তফাতের জন্যই প্রত্যেক তিন বছর অন্তর এক মাসে দুটি করে পূর্ণিমা হয়। প্রত্যেক ১৯ বছরে গড়ে সাতবার নীল চাঁদের দেখা মিলতে পারে।
নীল চাঁদের দেখা মিলবে।
এবার ব্লু মুন সরাসরি চাক্ষুষ করার সময় এসে গেল। আজ, বুধবার রাখি পূর্ণিমার আকাশে যে চাঁদ দেখা যাবে, সেটিই হল—ওয়ান্স ইন এ ব্লু মুন। ফলে অসাধারণ দৃশ্য আজ দেখা যাবে আকাশে। সাধারণ মানুষও সেই বিষয়টি দেখতে পাবেন। ৩০ ও ৩১ অগস্ট এই নীল চাঁদের দেখা মিলবে। জোড়া পূর্ণিমায় আকাশে নীল চাঁদ। একই মাসে দুটি পূর্ণিমা থাকলে তাকে সুপারমুন বলে। ২০১৮ সালের পর আবার উঠবে আজ ৩০ এবং ৩১ অগস্টে। তবে এবার সুপারমুনের সঙ্গে দেখা যাবে ব্লু মুনকে।
কেন এমন ঘটনা ঘটে? চাঁদের অবস্থান যখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে হয় তখন তাকে বলা হয় ‘অ্যাপোজি’। যখন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্বটা সবচেয়ে কমে আসে তখন তাকে বলে ‘পেরিজি’। এমন সময়ে পূর্ণিমা হলে চাঁদ হয়ে যায় ‘সুপারমুন’। যা আজ হবে। এই বিষয়ে জ্যোর্তিবিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বলেন, ‘এদিন রাত সাড়ে ৯’টা নাগাদ চাঁদ পেরিজি পয়েন্টে আসবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হবে মাত্র ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৯০ কিলোমিটার।’ যখন প্রকৃতির প্রাকৃতিক আলো কমে যাবে, তখনই ব্লু মুন ভাল দেখতে পাওয়া যায়। আজ, বুধবার যা দেখা যাবে।
আবার কবে দেখা যাবে? বুধবারের পর এই দৃশ্য আবার দেখতে পাওয়া যাবে ২০৩৭ সালে। আজকের চাঁদকে ‘ব্লু মুন’ বলা হচ্ছে তার কারণ হল, এই ‘ফুল মুন’ চলতি মাসে দ্বিতীয়। প্রথমটি দেখা গিয়েছিল ১ অগস্ট। একটি পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমার তফাত হয় গড়ে সাড়ে ২৯ দিন। ১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। একটি বছরের মোট দিনসংখ্যা ৩৬৫। সুতরাং এক সৌর বছর থেকে এক চন্দ্র বছরের মধ্যে ১১ দিনের তফাত ঘটে। এই তফাতের জন্যই প্রত্যেক তিন বছর অন্তর এক মাসে দুটি করে পূর্ণিমা হয়। প্রত্যেক ১৯ বছরে গড়ে সাতবার নীল চাঁদের দেখা মিলতে পারে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সুপার মুন নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বোঝান, ‘পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭.৩ দিন। তাই একটা সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে দূরে যায়। আবার সবচেয়ে কাছেও আসে। চাঁদ পৃথিবীর কাছে এলে তাকে বলে সুপার মুন।’ সুপার মুন সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে ৭ শতাংশ বড় হয় ও ১৬ শতাংশ উজ্জ্বল হয়। আজ, কলকাতায় বর্ষার আকাশ যদি সুযোগ দেয় তাহলে খালি চোখে ব্লু মুন দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩–এর বিক্রম ও প্রজ্ঞান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে যন্ত্রগুলি।