এবার দলীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে তাঁদের উপর চাপ বাড়বে। কারণ এঁরা বিধানসভার ভিতরে নীরব থাকেন। আবার অনেকে উপস্থিতই থাকেন না। ফলে বিশেষ মুহূর্তে বিরোধী দলের সঙ্গে টক্কর নেওয়া কঠিন হয়। এবার রাত পোহালেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি আছে রাজ্য বাজেট। সুতরাং তার আগে এই তালিকা প্রস্তুত করে চাপ বাড়ানো নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এবার বিধানসভার অধিবেশন জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ২২১। সেটা উপনির্বাচনগুলিতে জিতে সেটা আর একটু বেড়েছে। কিন্তু এই বিধায়কদের মধ্যে শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এমন রয়েছেন যাঁরা গত এক বছরে একদিনের জন্যও বিধানসভার অন্দরে মুখ খোলেননি। এই ‘নীরব বিধায়কদের’ সরব করতে বছরের প্রথম অধিবেশন থেকেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। গত বছরে একদিনের জন্যও কোনও অধিবেশনে বক্তব্য রাখেননি এবং সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি এমন বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। যা এবার চাপ বাড়াবে ‘নীরব বিধায়কদের’ উপর।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের তরুণীকে ভালবেসে ভারতের যুবক এখন জেলে বন্দি, মামলা চলছে মুক্তি পেতে
অন্যদিকে বিধানসভায় যেখানে বিধায়কদের বলার জায়গা সেখানে তাঁদেরই চূড়ান্ত খারাপ পারফরম্যান্স রয়েছে। তবে সেটা সকলের নয়। কিছু বিধায়কের। যাঁরা ‘আসি যাই ভাতা পাই’ পথে হাঁটছেন। এই সংস্কৃতিতে এবার বদল আনতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জন্যই তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখানে অনেক বিধায়কই আছে যাঁরা বিধানসভায় আসেন ঠিকই, সই করে আবার ফিরে যান। সেক্ষেত্রে ভাতা নিশ্চিত, আবার তাঁরা বিধানসভায় এসেছেন সেটাও প্রমাণিত। এই তালিকা যে তৈরি হচ্ছে এবং এমন সংস্কৃতি যে ভাঙতে চলেছে সেটা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ মুখ খোলেননি।