তামান্নার মৃত্যুর তদন্তে অসন্তুষ্ট পরিবার, তদন্তকারী অফিসার বদল করলেন এসপি

নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট-পরবর্তী বিজয় মিছিলের সময় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১০ বছরের তামান্না খাতুনের। সেই ঘটনায় কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা বহু অভিযুক্ত। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর সেই কারণেই অবশেষে বদল করা হল তদন্তকারী অফিসার।আরও পড়ুন: তামান্নার মৃত্যুতে জোরদার নজরদারি, সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে মোলান্দি গ্রামনতুন করে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে নাকাশিপাড়ার সার্কেল ইনস্পেক্টর মাহিউল ইসলামকে। এতদিন পর্যন্ত তদন্ত চালাচ্ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর দিবাকর দাস। তাঁকে এই কেস থেকে সরিয়ে এবার দায়িত্ব দেওয়া হল উচ্চপদস্থ অফিসারকে। সূত্রের খবর, তদন্তকারী অফিসার বদলের সিদ্ধান্ত এসেছে পুলিশ সুপারের সরাসরি হস্তক্ষেপে। গত মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি অমরনাথ কে-এর সঙ্গে দেখা করে তদন্তে অসন্তোষের কথা জানান তামান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি স্পষ্ট বলেন, প্রায় ২২ দিন হয়ে গেল, এখনও অধিকাংশ অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। পুলিশ কাদের গ্রেফতার করল, কী তদন্ত চলছে কিছুই বুঝতে পারছে না। মায়ের এমন দাবির পরেই তদন্তভার বদলের সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ সুপার। নতুন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ। তিনি বলেন, মামলার গুরুত্ব মাথায় রেখে ইনস্পেক্টর মর্যাদার একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে অভিযান চলছে।প্রসঙ্গত, ২৩ জুন, ভোটগণনার দিন নদিয়ার মোলান্দি গ্রামে বিজয় মিছিল বার করে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম সমর্থিত একাধিক বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই হামলায় প্রাণ হারায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না খাতুন। ঘটনার পরে কালীগঞ্জ থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তামান্নার মা। যদিও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে মাত্র ১০ জন। তদন্তে গতি আনতেই এবার সরাসরি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। এই অবস্থায় তমান্নার পরিবার আবারও দাবি জানিয়েছে, মামলাটি যেন সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই দাবিতে ইতিমধ্যেই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।