তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প বহু প্রতীক্ষিত হলেও ভাবাদিঘির কাছে এসে আবারও বাধার মুখে পড়ল। ৮২.৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল প্রকল্পের প্রায় সমস্ত কাজই শেষের পথে। কিন্তু মাত্র ৬০০ মিটার জায়গা ঘিরে এখনও জট কাটছে না। কিছুদিন আগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে রেল কাজ শুরু করলেও, ফের ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনও দাবিই পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন: তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ নিয়ে সমস্যা অব্যাহত, জট কাটছে না ভাবাদিঘির
মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই রেলের একদল আধিকারিক ভাবাদিঘিতে পরিদর্শনে যান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্দোলনকারীরা হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা, ‘টাকা চাই না, পয়সা চাই না, আমরা লোভী নই, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দিঘি রক্ষা করব।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁদের অগোচরে রেল কর্তৃপক্ষ মাটি ও জলাশয়ের পরীক্ষা করছে। অথচ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়নি। গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পণ্ডিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁদের পুকুর, তাঁদের দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন যাবে। অথচ গ্রামের মানুষকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তাঁদের মতামতও গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, রেল ও রাজ্য সরকার বৈঠকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার এক শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ খালি মাঠ থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকা খরচ করে দিঘির উপর সেতু বানানোর পরিকল্পনা চলছে। এই প্রকল্পে ক’টি পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে বাকি অসংখ্য পরিবারকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। শুধু বিক্ষোভ নয়, এবার গ্রামবাসীরা রেলের বিরুদ্ধে তদন্তে জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের দাবিও তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, প্রকল্পের বিকল্প পথ থাকা সত্ত্বেও কেন ভাবাদিঘির উপর দিয়েই রেললাইন টানার চেষ্টা হচ্ছে?