পুজোর মুখে ধাক্কা! ২ হাজার টাকা বেতন কমল NBSTC-র অস্থায়ী কর্মীদের, বিক্ষোভ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 10 Oct 2023, 06:53 PM ISTChiranjib Paul
মঙ্গলবার মালদা ডিপোতে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে অস্থায়ী কর্মীদের বিপদে ফেলা হচ্ছে। এদিন বিক্ষোভের পর ডিপো ইনচার্জকে ডেপুটেশনও জমা দেন।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস টার্মিনাস
এক ধাক্কায় দুহাজার টাকা বেতন কমানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের অস্থায়ী কর্মীদের। পুজোর আগে সংস্থার এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু অনুমোদিত নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট ইমপ্লয়েজ ইউনিয়ন। এই বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন।
মঙ্গলবার মালদা ডিপোতে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে অস্থায়ী কর্মীদের বিপদে ফেলা হচ্ছে। এদিন বিক্ষোভের পর ডিপো ইনচার্জকে ডেপুটেশনও জমা দেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘মালদা জেলা প্রায় ২০০ অস্থায়ী পরিবহণ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছিলাম। ২০২১ সালে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ১৩ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। বাজার অনুযায়ী বেতন অনেকটা কম হওয়া সত্বেও কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে পরিবহণ দফতরের থেকে নোটিশ সার পর ২হাজার টাকা বর্ধিত বেতন কেটে নেওয়া হয়। বিপাকে পড়তে অস্থায়ী কর্মীরা। আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানাচ্ছি। ’ তিনি অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি তোলেন, পাশাপাশি সমকাজে সমবেতনের দাবি করেন। দাবি না মিটলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথা ও ঘোষণা করেন তিনি।
এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। মালদা আইএনটিটিইউসি নেতা কৃষ্ণেন্দু মল্লিক বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের কথা সব সময় ভাবেন। যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার দ্রুত সমাধান হবে। বিষয়টি আদালত অবধি গিয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী, এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সবাই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখাছেন। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।’ বাম সংগঠনের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভ না করে ওদের উচিত সামধানের রাস্তা খোঁজা।’
তবে পুজোর মুখে বেতন কমার খবর শুনে ক্ষুব্ধ অস্থায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের কথায়, চেয়ারম্যানের তরফে কোনও সদুত্তর না পেলে আন্দোলন জারি থাকবে।