নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে ফের আলোড়ন। তৃণমূলের মঞ্চ থেকে উঠল বিরোধী দলনেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর নামে উঠল ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান। একসময় তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার সেই শুভেন্দুর নামেই ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ২৬-এর লক্ষ্যে নন্দীগ্রামে বিশেষ নজর অভিষেকের, দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক
ঘটনাটি সোমবারের। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া বাজারে আয়োজিত হয়েছিল তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সুজিৎ রায়, চেয়ারম্যান অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহাদেব বাগ। তিনি বলেন, টাকা বন্ধ করে দিয়ে বিজেপি যদি ভাবে বাংলার মানুষ ছাব্বিশে তাঁদের ভোট দেবে, তবে ভুল করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আড়াইশো আসন নিয়ে আবার নবান্নে ফিরবেন। বক্তব্যে হাততালি পড়ে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু বক্তব্যের একেবারে শেষ মুহূর্তেই ঘটে বিপত্তি। মহাদেব বাগ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, যুব নেতা শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ।" নাম উচ্চারণ হতেই মঞ্চে শুরু হয় ফিসফাস, দর্শকাসনে মুখ চাওয়াচাওয়ি। ভুল বুঝতে পেরে তিনি তড়িঘড়ি সংশোধন করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।
ঘটনা ঘিরে মুহূর্তে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় কীভাবে হঠাৎ করে বিজেপির নেতার নামে জয়ধ্বনি উঠল? অনেকে বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে একসময় শুভেন্দুই ছিলেন তৃণমূলের অবিসংবাদিত মুখ। সেই পুরনো অভ্যাস থেকেই হয়তো এই ভুল উচ্চারণ। আবার বিরোধীদের কটাক্ষ, নেতাদের মুখ ফসকে বেরিয়ে আসে মনের কথা। সভা শেষে অবশ্য মহাদেব বাগ আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে এই ঘটনাই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।