হরগোবিন্দ ও চন্দন দাস। মুর্শিদাবাদ হিংসায় মারা গিয়েছিলেন বাবা ও ছেলে। এরপর এনিয়ে নানা চর্চা। এদিকে রবিবার ছিল বামেদের ব্রিগেড। সেখানে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গও ওঠে। আর সেখানে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেলিম বলেন, ‘কেন মুর্শিদাবাদে হল? প্রশ্ন করব না? এই যে আজকে পুলিশ খুন করল। হরসুন্দর দাস। আর চন্দন দাসকে যারা খুন করল তারা দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে।’ বলেন সেলিম। এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শুভেন্দু।
এদিকে এই ভিডিয়ো দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছিলেন দু দিন আগে, অথচ নামটাই জানা নেই ঠিক করে !
মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিরোধী হিংসার শিকার; হিন্দু শহীদ শ্রী হরগোবিন্দ দাস অমর রহে' হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই। লিখেছেন শুভেন্দু। এরপর তিনি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে সেলিমের বক্তব্য।
সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে শুভেন্দুর দাবি, হরগোবিন্দ দাসের নাম ভুল বলেছেন সেলিম।
এদিকে এর আগে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেই পরিবারেও গিয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু শুভেন্দুর কটাক্ষ দলের পার্টি কর্মীর নাম বলতে গিয়েই ভুল বলে ফেললেন মহম্মদ সেলিম। তবে এনিয়ে সিপিএমের কোনও মন্তব্য মেলেনি।
তবে এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলা বামফ্রন্টের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলমত, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলার কাজে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি। অবিলম্বে জেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসনকে জেলা স্তরে এবং প্রতিটি ব্লক স্তরে দ্রুত সর্বদলীয় সভা ডাকতে হবে। এই ঘটনায় মৃত ৩ জনের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।' পাশাপাশি বামফ্রন্টের তরফে দাবি করা হয়, 'আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেরকম সদর্থক কোন ভূমিকা গ্রহণ করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসন সঠিক ভূমিকা পালন করলে এই ধরণের ঘটনা হয়ত ঘটত না। কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন চলার পর শেষের দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়ে বলেও শোনা যায়। সেই গুলিতে কয়েকজন জখম হয়েছে বলে জানা যায়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইজাজ সেখ নামে একজন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় এবং পরে সে মারা যায়। ১২ এপ্রিল দুপুরে ধুলিয়ানে একই পরিবারের ২ জন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস মারা গেছে। এরা দু'জনেই সিপিআই(এম) সমর্থক ছিলেন। জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে মৃত পরিবারের সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।'