ভয়াবহ হিংসার ঘটনা হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর। পাথর বৃষ্টি। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠছে সেদিন ভিড়ের মধ্য়ে ছররা গুলিও চালানো হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন এক যুবক। আহত ওই যুবক ধুলিয়ানের বাসিন্দা। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর দেহে ছররা গুলির আঘাত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে কি সেদিন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে হিংসার সময় ছররা গুলি চালানো হয়েছিল?
এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। তবে এই ছররা গুলি চালালো কে বা কারা? আরও কেউ কি আহত হয়েছেন? এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শনিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি করা হয়েছে ওই যুবককে। গত ১২ এপ্রিল তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে খবর। এরপর তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। এদিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরেও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। এরপর তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে এতদিন ধরে ওই যুবক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হননি। কেন তিনি সেখানে ভর্তি হননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হয়তো তাকে নিয়ে সন্দেহ হতে পারে সেই আশঙ্কাতে তিনি সরকারি কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে হিংসার সময় তার পায়ে ছররা বিঁধে যায়। সেটা এখনও বিঁধে রয়েছে বলে খবর। সেই ছররা বের করতে হবে পা থেকে। অপারেশন করে সেটা বের করতে হবে।কিন্তু ছররা গুলি চালালো কে? এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সেই সঙ্গেই ঠিক কবে কোথায় বছর তিরিশের ওই যুবকের পায়ে ছররা গুলি লেগেছিল সেটাও দেখা হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়ারা এসেছিলেন কলকাতায়। সেই সময় এক মহিলা জানিয়েছিলেন, বাড়ি লুঠপাট করেছে। পুলিশ থাকতেও আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। বিএসএফআসার পরে তারপর আমরা বাঁচতে পেরেছি। না হলে বাঁচতে পারতাম না। বলছে হিন্দু থাকতে দেব না। কি অন্য়ায় করেছি আমি? হিন্দু মুসলিমরা আমাদের খুব মিল ছিল। বলছে মোদী পাশ করেছে তোদের থাকতে দেব না। হিন্দুদের থাকতে দেব না। আমাদের জলে বিষ মেশাচ্ছে। আমরা বিচার চাই। গলায় চাকু লাগালো। বললাম দাদা ঘরে আগুন লাগিয়ো না। তবু আগুন লাগাল। বিড়ি বাঁধি। কাঁঠালপাতা কুড়োই। সব পুড়ে ছাই করে দিল। বেছে বেছে হিন্দু বাড়িকে পুড়িয়ে দিল। আমাদের বাড়িতে হিন্দু বাড়িতে কোনও অস্ত্র ছিল না। বিএসএফ না থাকলে বাঁচতাম না। আমরা বেদবোনা গ্রামের বাসিন্দা। কী দোষ ছিল আমাদের? মেয়েদের গায়ে হাত দিতে আসছে। আমরা ওদের বিচার চাই।