বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কদিন আগে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে চিঠি লিখে আর এক বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছিলেন। সেখানেও বিজেপির সাংগঠনিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর, দুলদুলি ফেরিঘাট–সহ নানা জায়গায় বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। আজ সোমবার সকাল থেকে নানা জায়গায় দেখা যায়, সুন্দরবনের বিজেপি নেতা তথা কনভেনার অভিজিৎ দাসের নাম ও ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছে।
এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই পোস্টারে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে নানা কুকথা লেখা রয়েছে। যা গ্রামীণ সংগঠনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। তাছাড়া এই পোস্টারে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে দলের গোষ্ঠীকোন্দলই প্রকাশ পেয়েছে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন হবে বাংলায়। সেখানে এমন পোস্টার সংগঠনে ধস নামার পক্ষে যথেষ্ট। ঠিক কী লেখা আছে? এই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে অভিজিৎ দাস লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই অভিজিৎ দাস বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার বিশিষ্ট বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। চোর অভিজিৎ দাস থাকলে বিধানসভার ভোট বয়কট হবে।’
আরও পড়ুন: ‘লাখ বছর পর দিদির মতো নেতা পাওয়া যায়’, শালবনির মঞ্চে মমতার ভূয়সী প্রশংসা জিন্দালের
এটা যে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী করেছে সেটা এখন সকলেই বুঝতে পারছেন। যদিও এটা তৃণমূল কংগ্রেস করেছে বলে অভিজিতের দাবি। এই পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে যে, ‘হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা চোরমুক্ত করতে চাই। অভিজিৎ দাসকে মানছি না, মানবো না। আমরা হিঙ্গলগঞ্জের মানুষ চোরমুক্ত বিধানসভা কেন্দ্র চাই।’ এই পোস্টারে এখন ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। যদিও হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার কনভেনার অভিজিৎ দাস বলেন, ‘তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত করে পোস্টার মারছে। রাজনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে পারছে না। হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভায় ভরাডুবি হবে বলে এভাবে পোস্টার মারছে।’ যদিও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসই জিতেছিল। বিধায়কও তৃণমূল কংগ্রেসেরই।
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন মারাত্মক শক্তিশালী। এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এসটি এসসি ওবিসি সেলের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুরেশ মণ্ডল বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। দুর্নীতি পোস্টার ফেলেছে বিজেপিরই অপর গোষ্ঠী। আগেও বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্যের নামে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপির একাংশ। তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। দুর্নীতির কথা যারা বেশি করে বলে তারাই দুর্নীতিগ্রস্ত।’