'হকের চাকরি ফেরত দিন। মরব তবু উঠব না। ডু অর ডাই। '
সোমবার সন্ধ্যা। এসএসসি ভবনের সামনে আছড়ে পড়ল চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিক্ষোভ। ভেতরে কয়েকজন প্রতিনিধি মিটিংয়ে বসেছিলেন। আর সেখান থেকে কিছু খবর আসে বাইরে। তারপরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। এসএসসি ভবনে প্রবেশের জন্য একেবারে মরিয়া চাকরিহারা শিক্ষকরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তবে এবার গোড়া থেকেই অনেকটাই সংযত পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ কোনওরকমে গেটের সামনে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে একের পর এক ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে এসএসসি ভবনের সামনে। তার মধ্য়েই কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে দেখা যায় পুলিশ জল নিয়ে পাখার হাওয়া করে তাদের ‘সেবা’ করার চেষ্টা করছে।
তবে চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, আজ এখান থেকে উঠব না। সারারাত থাকব। চাকরি নিয়ে তারপর বাড়ি ফিরব। প্রসঙ্গত সোমবার সন্ধ্যায় যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পরেও সেই তালিকা প্রকাশিত না হওয়ার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
তাদের দাবি, এবার লড়াই মরণপণ। মরব তবু উঠব না। চাকরিহারা শিক্ষকরা বলেন, যারা চুরি করল তারা ঠান্ডাঘরে আর আমরা এখন রাস্তায়। এটা কেমন রাজনীতি? এটা কোন চক্রে আমরা পড়ে রয়েছি।
এসএসসি ভবনের সামনে বসে পড়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবুও তারা সেখান থেকে উঠতে চাননি। তারা শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসির চেয়ারম্যানের পদত্য়াগের দাবি তোলেন। তাদের দাবি সারা রাত বসে থাকব। রাতের পর রাত আমরা রাত জেগে পড়াশোনা করে একটা চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চাকরি করার কিছুদিন পরে জানতে পারলাম আমাদের চাকরি নেই।
টাকা দিয়ে চাকরি আর পরীক্ষা দিয়ে চাকরি। এই দুটি বিষয় এতদিন ছিল। এবার শুনতে পাচ্ছি তিনটি কাউন্সেলিংয়ের পরে নাকি সবই অবৈধ। কিন্তু এই কাউন্সেলিংয়ের প্রসঙ্গটা এল কীভাবে?
সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ। চতুর্থ থেকে অষ্টম কাউন্সেলিং নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু এসএসসির সেই সিদ্ধান্তের দায় কীভাবে নেবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা? একের পর এক প্রশ্ন। কিন্তু উত্তরটা দেবেন কে? স্কুল সার্ভিস কমিশনে গিয়েছিলেন ১৩জনের প্রতিনিধিদল। সেখান থেকেই খবর আসার পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। তবে চাকরিহারাদের দাবি এসএসসি ভবন থেকে কোনও আধিকারিককে বের হতে দেব না।