মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জাফরাবাদে খুন করা হয়েছিল বাবা ও ছেলেকে। সেই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল জিয়াউর শেখকে। কিন্তু সেই ঘটনায় জড়িত ছিল আরও চক্রী। এবার পুলিশ তাদের খুঁজতে শুরু করে। গত ১২ এপ্রিল থেকে তারা গা ঢাকা দিয়েছিল। তবে এবার ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া থেকে সন্দেহজনক কয়েকজনকে ধরে আনল এসটিএফ। তারা হিংসা বা খুনে জড়িত কি না তা দেখা হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিল। এরপর শুরু হয় ওড়িশায় অভিযান। এরপর এসটিএফের হাতে আটক হল জিয়াউলের দুই পুত্র। সেই সঙ্গে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার জিয়াউরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চোপড়া থেকে। এরপর খোঁজ চলছিল বাকিদের। এরপর জিয়াউরকে জেরা করে পুলিশ বাকিদের খোঁজ পায়।
ধুলিয়ানে খুন করা হয়েছিল বাবা ছেলে, হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে। সূত্রের খবর, ওরা ওড়িশাতেই কাজ করে। তারা ইদ উপলক্ষ্যে এসেছিল মুর্শিদাবাদে। সেখানেই তৈরি হয়েছিল হিংসা। এরপর তারা চলে গিয়েছিল ফের ওড়িশায়। এরপর সেই ওড়িশা থেকে তাদের ধরে নিয়ে এল পুলিশ।
ব্যপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। নানাভাবে পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে। এরপর তারা কোথায় রয়েছে তার খোঁজ চলে। তারপর শুরু হয়েছে আটক।
সূত্রের খবর, দুই ভাইকে ওড়িশা থেকে আটক করা হয়েছে। জাফরাবাদের কাছে সুলিতলা পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা তারা। এসটিএফের পাঁচ সদস্যের টিম গিয়েছিল ওড়িশায়। বন্ধাবাহাল এলাকায় তারা তল্লাশি চালায়। এরপর জিয়াউরের দুই পুত্রকে আটক করে। এদিকে ওই দুুই ভাই এই ঘটনায় জড়িত কি না, হিংসায় কতটা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।