মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দিলীপ ঘোষের। আজ সকালবেলায় খড়গপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন নয় বাংলায় আফস্পা (সৈন্য বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন) জারি হবে রাজ্যে। উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বাংলার সীমান্ত জেলাগুলিকে 'অশান্ত এলাকা' হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি লোকসভার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সঙ্গে তিনি অনুরোধ করেছেন যে, হিন্দুদের উপর বারবার সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগের কারণে নির্দিষ্ট কিছু সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে আফস্পার আওতায় আনা হোক। এবার সেই আফস্পা জুজু দেখালেন দিলীপ ঘোষ। (আরও পড়ুন: 'নিজের ছবি দিন, তবে...', ইউসুফের 'চা খাওয়া' নিয়ে বিতর্কের মাঝে বলল তৃণমূল)
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনে ধৃত পাশের গ্রামের জিয়াউল, মমতার তত্ত্ব ভাঙছে পুলিশই?
এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এত কঠিন সময়ে সেই এলাকা পরিদর্শন করার জন্য আমি রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানাই... কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে, তিনি বিয়েতে যোগ দিতে যাচ্ছেন... তিনি এমন বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি অপরাধীদের 'শান্তিদূত' বলে সম্বোধন করেন... আমাদের বিজেপি বিধায়করা সেখানে ত্রাণ প্রদানের জন্য যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের থামানো হচ্ছে... জনগণের কাছে মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও নেই... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন? তাঁর হাতে প্রশাসন এবং সরকার আছে; তাঁর পদক্ষেপ করা উচিত... আমরা একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখেছি যে দাঙ্গার আগে তাঁর নিজের লোকেরাই জনগণকে উস্কানি দিচ্ছিল। তাদের ধরা উচিত। অন্যথায়, এনআইএ আসবে, তদন্ত করবে এবং সবাইকে গ্রেফতার করবে। আর তারপর বাকি জীবনটা সেখানেই (জেলে) কাটানো হবে এবং আফস্পা আইন জারি করা হবে।' (আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে হামলা চালাতে চেয়েছিল মার্কিন মুলুকে ধৃত খলিস্তানি জঙ্গি: UP পুলিশ)
প্রসঙ্গত, নাগা পাহাড় এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ মোকাবিলা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর, মণিপুর সহ উত্তরপূর্বের একাধিক রাজ্যে জারি আছে এই আইন। এই আবহে বিজেপি নেতারা বারংবার মুর্শিদাবাদের ঘটনাকে ১৯৯০-এর কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করছেন, যেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এহেন পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের একবছর আগে বাংলায় আফস্পা জারির হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্ম হচ্ছে গেরুয়া শিবির।