ছাত্রীদের স্নানের সময় গোপনে নজরদারির অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ঘটনাস্থল তরঙ্গপুর বরাল হরলাল বালিকা বিদ্যালয়ের হস্টেল। বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন একাদশ শ্রেণির আবাসিক ছাত্রীদের একাংশ। অভিযোগের কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং হস্টেলের এক কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। (আরও পড়ুন: টয়লেটে মহিলা সহকর্মীর ভিডিয়ো করতে গিয়ে ধরা পড়ল ইনফোসিস কর্মী, কী বলল IT সংস্থা?)
আরও পড়ুন: CU-এর গার্লস হস্টেলে কাঠের বিম ভেঙে পড়ায় রিপোর্ট তলব উচ্চশিক্ষা দফতরের
আবাসিক ছাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হস্টেলের কলপাড়েই স্নান করতে হচ্ছে তাদের। অথচ হস্টেলের দোতলায় থাকা বাথরুমটি অকারণে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর সেই কলপাড়ে প্রায় তিন বছর আগে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। ছাত্রীরা বারবার আপত্তি জানালেও তাতে কোনও সাড়া মেলেনি। বরং ক্যামেরার সামান্য দিক ঘুরিয়ে দিয়েই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ উঠেছে। (আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর কত রাত পর্যন্ত কসবা কলেজে ছিল মনোজিৎ? প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল?)
আরও পড়ুন: আরও বিপাকে কসবা গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ, এবার কী হবে?
ছাত্রীদের দাবি, ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে পারেন তিনজন প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচি, ওয়ার্ডেন ঝুনু বণিক এবং সিসিটিভি ইনস্টলার তথা অ্যাকাউন্টেন্ট সুব্রত মণ্ডল ওরফে শঙ্কু। অভিযোগের আঙুল মূলত সুব্রতের দিকেই। ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে, আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবারে স্নানের দৃশ্য নজরবন্দির অভিযোগ নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে হস্টেলে। (আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়, CBI চেয়ে মামলায় যুক্ত হতে চায় নির্যাতিতার পরিবার)
বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, বহুদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে তারা। ওয়ার্ডেনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। ছাত্রীদের অভিযোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরাও। এক অভিভাবক বলেন, মেয়েরা যখন এমন অভিযোগ করছে, তখন নিশ্চয়ই কিছু আছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।শুধু ছাত্রীরা নন, কয়েকজন শিক্ষিকাও এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। এক শিক্ষিকা বলেন, ছাত্রীদের কাছ থেকে বহুবার অভিযোগ পেয়েছেন। বারবার প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, মাস পাঁচেক হস্টেলের দিকে যাননি তিনি। তিনি যে ঘরে বসেন সেখানেই মনিটর রাখা আছে। এটাই কি তাঁর দোষ? ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি সুব্রতর।প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচি বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা সামনে আসতেই প্রশাসনিক স্তরেও নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা ও সম্ভাব্য গাফিলতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।