কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হস্টেলে সিলিং থেকে কাঠের বিম ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শুক্রবার ভোরে বিডন স্ট্রিটে অবস্থিত পিজি লেডি স্টুডেন্টস হলের প্রথম তলার ১৭ নম্বর ঘটে এই ঘটনা ঘটে। সৌভাগ্যবশত, কাঠের স্ল্যাবটি যে বিছানার ওপর পড়ে, সেই ছাত্রী তখন ঘরে ছিলেন না। তবে ঘরে থাকা আরও দুই ছাত্রী ধুলো এবং ধ্বংসাবশেষের আঘাতে সামান্য আহত হন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল উচ্চ শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: বিরাট বিপদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হস্টেলে! ভেঙে পড়ল বিম
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা হস্টেল পরিদর্শন করেন। শীঘ্রই একটি সরকারি সংস্থা মেরামতের কাজ শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে। হস্টেলটি একটি ভাড়াবাড়িতে থাকায় সংস্কারের আগে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ‘এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। আমরা আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট চাইব।’ শনিবার ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রী লাগেজ নিয়ে হস্টেল ছেড়ে চলে যান। পাশের ঘরের ছাত্রী ও অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের কলেজ স্ট্রিট ইউনিটের সভাপতি কৃষ্ণা রায় বলেন, ‘আমি ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনেই দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাই। ভবনটি প্রায় ১৭০ বছরের পুরনো এবং তার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানিয়েছেন, ছাত্রীদের জন্য বিহারীলাল কলেজের পিজি হস্টেল, বালিগঞ্জের গেস্ট হাউস এবং আরও ছয়টি সিইউ হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অনেক ছাত্রী পরীক্ষা শুরু হওয়ায় স্থানান্তরিত হতে চাইছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকার সুবিধার্থেই অনেকে ওই এলাকায় থাকতে চাইছেন। হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দ্রুত সংস্কারের দিকেই এখন নজর রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।