বড়সর বিপত্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। হুড়মুড়িয়ে খুলে গেল কাঠের বিরাট বিম। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দুই ছাত্রী। বিডন স্ট্রিটে রয়েছে সেই হস্টেল। সেই গার্লস হস্টেলের ছাদ থেকে আচমকাই বিম খুলে নীচে পড়ে যায়। তবে সেই সময় অন্য প্রান্তে ছিলেন ছাত্রীরা। তার জেরে তারা অল্পের জন্য রক্ষা পান। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যেতে পারত।
হস্টেলের ১৭ নম্বর ঘর থেকে কিছু ভেঙে পড়ার আওয়াজ মেলে। তারপরই ছুটে আসেন অন্যান্য আবাসিকরা। আবাসিকদের মধ্য়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে হস্টেলের ওই রুমে রঙ ঠিকঠাকই করা রয়েছে। কিন্তু মনে করা হচ্ছে ভেতরে ভেতরে ক্ষয়ে গিয়েছে বিম। তার জেরে সেটি ভেঙে পড়ে গিয়েছে।
হস্টেলের এই ঘটনার পরে ইঞ্জিনিয়াররা আসেন। তাঁরা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। ঘরগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত ছাত্রীদের অন্য়ত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। এরপর মেরামতির প্রয়োজনীয় কাজ করা হবে।
ভোরবেলা এই বিম ভেঙে পড়ে বলে খবর। সব মিলিয়ে ৭৫জন এই হস্টেলে থাকতেন। তিনতলা হস্টেল। তার একতলায় ১৭ নম্বর ঘরে ঘটে বিপর্যয়। তবে সেই সময় ঘরের অন্য় প্রান্তে ছিলেন ছাত্রী। তার জেরে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। আপাতত ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই গোটা হস্টেল খালি করে দেওয়া হয়। ছাত্রীদের অন্য় হস্টেল ও গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
গোটা ঘটনায় ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দুই ছাত্রী। বিমটি ছাদ থেকে একেবারে নীচে ভেঙে পড়ে। নীচে ছিল ছাত্রীদের বেড। সেখানে বিমটি খুলে পড়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার পরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন এই হস্টেলের রক্ষণাবেক্ষণ করা হত না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের মতে, যে হস্টেলে ছাত্রীরা রয়েছেন সেখানে বিম ভেঙে পড়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। তবে আপাতত ওই বিম মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও গোটা বিষয়টি জানার পরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।