চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন এক স্কুলশিক্ষক। তারপর আসল শোধ করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বেড়ে চলেছিল সুদের পরিমাণ। এমনকী তা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় স্কুলশিক্ষককে। আর তার জেরে চরম হেনস্তার শিকার হতে হয় গোটা পরিবারকে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। সেটা স্ত্রী জানতে পেরে যাওয়ায় প্রাণ বেঁচেছে তাঁর। কাটোয়া থানায় সুদের কারবারিদের দাদাগিরির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে কাটোয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুলশিক্ষক অনিমেষ সরকারের বাবা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তাই পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নেন তিনি। ঋণের ‘আসল’ শোধ করার পরেও সুদের কারবারিরা তাঁর সুদের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। টাকা না দিলে পরিবারের সকলকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। স্কুলশিক্ষক অনিমেষ সরকার কাটোয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ২০১৯ সালে পাঁচ লক্ষ ধার নেন তিনি। আরও টাকার প্রয়োজন হলে একাধিক সুদের কারবারির থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন অনিমেষ। প্রতি মাসে সুদের টাকা ফেরত দেন বলেই দাবি তাঁর। আসলও ফেরত দেন তিনি বলে তাঁর দাবি। কিন্তু তারপরও মেলে খুনের হুমকি।
কী করছিল সুদের কারবারিরা? ওই সুদের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল সুদের কারবারিরা বলে অভিযোগ। স্কুলশিক্ষক অনিমেষ সরকারের স্ত্রী, সন্তানকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে সুইসাইড নোটও লিখে রেখেছিলেন স্কুলশিক্ষক। ওই সুইসাইড নোটটি দেখে ফেলেন স্কুলশিক্ষকের স্ত্রী। তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হন দম্পতি। তিন বছর পরে ঋণের সেই পাঁচ লক্ষ টাকা চড়া সুদের চক্রে পড়ে ১০ লক্ষ টাকায় দাঁড় করিয়ে দেয় কারবারিরা। তাতেই হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্কুলশিক্ষক অনিমেষ সরকার।