স্কুলের মিড-ডে মিলের পাতে এবার কি ডিমের পাশাপাশি মাছও যোগ হতে চলেছে? ঠিক এমনই এক নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে সমগ্র শিক্ষা মিশন। মিশনের নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, স্কুলের প্রাঙ্গণে বা সংলগ্ন এলাকায় যেখানে পুকুর রয়েছে, সেখানে মাছ চাষ শুরু করতে হবে। আর সেই মাছই যাবে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের পাতে।
আরও পড়ুন: বাংলার ছেলেমেয়েরা মিড ডে মিল খাচ্ছে না কেন? রাজ্যের কাছে জবাব তলব মোদী সরকারের
এর আগে বহু স্কুলেই জমিতে সবজি চাষ করে সেই ফসল রান্না করে পরিবেশন করা হয়েছে মিড-ডে মিলে। এবার সবজির পাশাপাশি মাছকে যুক্ত করা হলে পড়ুয়াদের খাদ্যতালিকায় বৈচিত্র আসবে বলে মনে করছে শিক্ষা দফতর। যেসব স্কুলে পুকুর নেই, সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাড়তি জমি থাকলে খেলার মাঠ অক্ষত রেখে আলাদা জায়গায় পুকুর খনন করার।
তবে প্রশ্ন উঠছে, মাছ চাষের খরচ কে বহন করবে? শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মৎস্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মৎস্য দফতর বিনামূল্যে চারাপোনা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। স্কুলগুলিকে সেই সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আলোচনা হবে। উত্তর ২৪ পরগনার কনকনগর সৃষ্টিধর ইনস্টিটিউটে ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। সেখানকার নিজস্ব পুকুরে মাছ চাষ করে মিড-ডে মিলে পরিবেশন করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। সম্প্রতি একটি পরিদর্শক দল ওই স্কুলে গিয়ে এই উদ্যোগ দেখে সন্তুষ্ট হয়। তারপরেই বিকাশ ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলিতে একই উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, মূল লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা। ডিম যেমন উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, তেমনই মাছও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মধ্যে মেনুতে মাছ এলে বাচ্চাদের খাবারে স্বাদও বদল হবে। তবে সব স্কুলেই যে মাছ চাষ করা সম্ভব, তা নয়। যেখানে উপযুক্ত জায়গা ও পরিবেশ রয়েছে, সেখানেই এই উদ্যোগ কার্যকর হবে। ফলে প্রাথমিকভাবে সীমিত সংখ্যক স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হলেও ভবিষ্যতে আরও অনেক জায়গায় এই প্রকল্প চালু হতে পারে বলে শিক্ষা দফতরের ধারণা।