উত্তরবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৈরি হয়েছে জঙ্গি আতঙ্ক। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ-এর তিন জঙ্গি ‘চিকেনস নেক’ হয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে তারা বিহারেও চলে গিয়েছে বলে সন্দেহ। ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের তরফে ওই তিন অভিযুক্তের নাম ও স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতেই উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা মালদায় নিরাপত্তা চূড়ান্তভাবে কড়া করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশি সূত্রে খবর, মালদার মতো জেলা যেখানে সীমান্ত পেরোনো এবং আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ সহজ, সেখানে যে কোনও মুহূর্তে জঙ্গিরা স্থানীয় ভিড়ে মিশে যেতে পারে। তাই প্রশাসন বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছে মাইকিং। বিশেষ করে যারা নতুন ভাড়াটে নিচ্ছেন, তাদের কাগজপত্র জমা না দিয়ে বাড়ি ভাড়া না দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ভাড়াটের পরিচয়পত্র স্থানীয় থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু ভাড়াটে নয়, হোটেলগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যাতে প্রতিটি হোটেল কর্তৃপক্ষ আগত অতিথিদের পরিচয় ও নথি আপলোড করতে বাধ্য থাকবেন। মালদার এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অ্যাপ মারফত অতিথিদের সমস্ত তথ্য সরাসরি পুলিশের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে নজরদারি আরও সহজ হচ্ছে।
একই সঙ্গে রেল স্টেশনগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে আরপিএফের টহল। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রশাসন মনে করছে, ট্রেন ও লজের মাধ্যমেই সবচেয়ে সহজে অচেনা মানুষ এলাকায় ঢুকে যেতে পারে। তাই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই দুই জায়গাতেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিমও সক্রিয়। সাধারণ মানুষকেও সন্দেহজনক কারও দেখা মিললে তা দ্রুত থানায় জানানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে, মালদার প্রতিটি প্রান্তেই এখন জারি রয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’।