ছ’বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কারণ তিনি স্ত্রীর খোরপোশ দিতে চাইছিলেন না। তারজন্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হরিপদ মণ্ডল। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার দক্ষিণ বায়েন্দা গ্রামে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে কড়া নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: যোগ্যতা থাকলেও স্ত্রী'কে খোরপোষ না দিতে স্বামী বেকার আছেন? এটা কাম্য নয়, বলল হাইকোর্ট
জানা যাচ্ছে, হরিপদর বিরুদ্ধে আদালত ২০২০ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে না পাওয়ায় একাধিকবার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, আদালত ১ জুলাই ভূপতিনগর থানার ওসিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর ঠিক এক দিন আগে, সোমবার হরিপদ ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, জেলা পুলিশের ক্রাইম মনিটরিং সেল (সিএমজি) এবং ভূপতিনগর থানার যৌথ অভিযানে বরানগরের একটি জায়গা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। সিএমজির প্রযুক্তিগত নজরদারিতে ধরা পড়ে যায় হরিপদের অবস্থান। পুলিশ জানায়, হরিপদ সেখানে অটো চালাতেন।
ধৃতকে ভূপতিনগর থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পরদিন, মঙ্গলবার তাকে কাঁথি এসিজেএম কোর্টে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। পাশাপাশি আদালত জানিয়ে দেয়, স্ত্রীর খোরপোশের বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত তাঁর মুক্তি মিলবে না। সূত্রের খবর, এই বকেয়া পরিমাণ ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। হরিপদর স্ত্রী মৌসুমী পাল একই থানার পাঁচঘড়ি গ্রামের বাসিন্দা। স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন এবং খোরপোশের মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার কথা থাকলেও সেই রায় ঘোষণার পর থেকেই উধাও হয়ে যান হরিপদ। বাড়ির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে দেন তিনি।