দুর্গাপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেলে নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রশাসনিক সভা থেকে বাংলায় ৭ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। তিনি দাবি করেন, এরফলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই রোজগারের সুযোগ বাড়বে।
আরও পড়ুন: মোদীর সভার আগে দুর্গাপুরে আগুন, ব্যাপক চাঞ্চল্য, দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনল দমকল
প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্গাপুর ভারতের অন্যতম শ্রমশক্তির কেন্দ্র। ভারতের বিকাশে দুর্গাপুরের বড় ভূমিকা রয়েছে।’ তিনি জানান, বাংলায় পরিকাঠামো, জ্বালানি, পরিবহণ ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে একাধিক নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে, যার প্রত্যক্ষ সুফল পাবেন বাংলার মানুষ।
মোট সাতটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে- সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্প। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জন্য ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনে চালু হচ্ছে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রকল্প। এতে বিনিয়োগ ধরা হয়েছে প্রায় ১৯৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে দুর্গাপুর-কলকাতা গ্যাস পাইপলাইন। প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের অধীনে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত (১৩২ কিমি) গ্যাস পাইপলাইন বসানো হবে, যা হলদিয়া পর্যন্ত প্রসারিত হবে পরবর্তীতে। তৃতীয়ত, দুর্গাপুর ও রঘুনাথপুরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের রঘুনাথপুর কেন্দ্র এই দুই জায়গায় প্রায় ১৪৫৭ কোটি টাকার পরিবেশবান্ধব দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বসানো হবে। এছাড়াও আছে, রেল পরিকাঠামো উন্নয়ন। পুরুলিয়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেললাইন দ্বিগুণ করার প্রকল্পের সূচনা হল। ৩৬ কিলোমিটারের এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯০ কোটি টাকা। এতে জামশেদপুর, ধানবাদ, বোকারো-সহ একাধিক শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত ১০ বছরে রাজ্যে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে ‘অভাবনীয় অগ্রগতি’ হয়েছে। তাঁর কথায়, বাংলার ২৫-৩০ লক্ষ ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস পৌঁছচ্ছে। আর এইসব প্রকল্প আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। দুর্গাপুরের সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। প্রশাসনিক সভা শেষ করেই মোদী দুর্গাপুরেই রাজনৈতিক সভায় যোগ দেন।