সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার পর শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে একাধিক স্কুল। কোনও স্কুলে একসঙ্গে ১১ জন, আবার ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তবে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাইস্কুলের একমাত্র শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় চরম সংকটে রয়েছে পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় স্কুলে পঠন-পাঠন সামলালেন অবসরপ্রাপ্ত এক অতিথি শিক্ষক।
আরও পড়ুন: ‘কীসের প্ল্যান বি! কারোর দয়ায় চাকরি পাইনি, রাজনীতি করছেন দিদি,’ হতাশ চাকরিহারারা
জানা গিয়েছে, এই স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৪০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এতদিন স্কুল চালাচ্ছিলেন একমাত্র শিক্ষক শিক্ষক কিসুন বেসরা। চাকরি হারানোর পরেও শনিবার পর্যন্ত তিনি স্কুল এসেছেন। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে, স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই সোমবার স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত কুমার ভুঁইয়া। মঙ্গলবারও পরীক্ষা। এদিনও পরীক্ষার দায়িত্ব সামলানোর কথা জানান শিক্ষক। তবে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে তিনি আর স্কুলে আসবেন না বলেই জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই স্কুলের পরীক্ষা শেষ। ফলে স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক থেকে শুরু করে আধিকারিকরা।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় এই স্কুলে দুজন শিক্ষক ছিলেন। যার মধ্যে কিসুন বেসরা ইতিহাসের শিক্ষক এবং শান্তনু পাল ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। তবে বেশ কয়েক বছর আগে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান শান্তনু পাল। তাঁর বদলির পড়ে কিসুন একাই এই স্কুল চালাচ্ছিলেন। যদিও বিভিন্ন মহলে আবেদন করার পর দুজন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল স্কুলে। যার মধ্যে অজিত কুমার ভুঁইয়া গত ৩১ মার্চ অবসর নিয়েছেন। আরও একজন অবসর নিয়েছেন গত বছর।