একেবারে ভয়াবহ ঘটনা জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। ময়নাগুড়ির সরকারি বাসে আচমকাই আগুন। সোমবার সকালে ময়নাগুড়ি শহরের সুভাষনগর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় এই ভয়াবহ ঘটনা। জলপাইগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল বাসটি। আচমকাই বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। সেই সঙ্গেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এর জেরে বাসের যাত্রীদের মধ্য়ে তীব্র আতঙ্ক দেখা দেয়। কয়েকজন বাস থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করেন।
আতঙ্কে কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
সূত্রের খবর, যেখানে এই ঘটনা হয় সেখানে একাধিক দোকানপাট রয়েছে রাস্তার ধারে। সেই সঙ্গেই ময়নাগুড়ির সুভাষগ্রাম হাইস্কুলের গেটটাও মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে। সেখানে আচমকাই আগুন ধরে যায়। আগুনের জেরে বাসের সামনের অংশটি পুড়ে যায়। ভেতরের একাংশও পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাসের একটা বড় অংশ।
এদিকে আচমকাই বাসে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। বিশেষত বাসের সামনের দিকে যে যাত্রীরা বসে ছিলেন তাঁরা সবথেকে বেশি ভয় পেয়ে যান। চিৎকার শুরু করে দেন তারা। বাসের চালক কোনওরকমে রাস্তার ধারে বাসটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। এরপর একাধিক যাত্রী আতঙ্কে তাদের ব্যাগপত্র ছাড়াই বাস থেকে নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেই সঙ্গেই দমকল বাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। তারা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ইঞ্জিনের কোনও গোলযোগের কারণে এই আগুন লেগেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বাসটি মালবাজার ডিপোর। জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে যাত্রীদের নিয়ে বাসটি মালবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ময়নাগুড়ি পর্যন্ত গিয়েছিল বাসটি। আচমকা বাসের সামনের দিকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এরপর বাসের একাংশ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায়। এর জেরে স্বাভাবিকভাবে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। এমনকী জানালা দিয়েও বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন। সব মিলিয়ে আতঙ্ক একেবারে চরমে ওঠে।
পুলিশ ও দমকল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন মহিলা যাত্রী আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বাসে ৫৫জন যাত্রী ছিলেন। অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছে তাঁদের। তবে গোটা ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক দানা বেঁধেছে যাত্রীদের মধ্য়ে।