মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা! চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। তার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থও হয়েছিলেন যুবক। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। শেষে মাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে নিজেকেই শেষ করে দিলেন যুবক। বৈদ্যুতিন করাত চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে টিকিয়াপাড়ার ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের নাম দৌলত আলি মোল্লা (২৯)।
পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন দৌলত। হাওড়া জেলা হাসপাতালে তার চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু মাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আজ সকালে সে ঘরের মধ্যে বৈদ্যুতিত করাত নিজের গলায় চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন দৌলত। পরে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ব্যাটরা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা।
মৃত যুবকের মা রহিমা বিবি জানান, ‘দৌলতের মৃত্যুর জন্য প্রেমঘটিত কোনও কারণ ছিল না। তাঁর মাথায় মাঝেমধ্যেই অসহ্য যন্ত্রণা হতো। আমরা তাঁকে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। এরপর মাঝেমধ্যেই সে বলতো কেউ তাঁকে খুন করতে আসছে। কাল আমরা ওকে একজন তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গেছিলাম। উনি মাদুলি দিয়েছেন। রাতে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এরপর এ দিন করাত চেয়ে নিয়ে যায়। তারপরে করাত চালিয়ে তাতে নিজের গলা রেখে আত্মহত্যা করে।’ ঘটনায় রক্তে ভরে যায় ঘর। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। আদৌও ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে যুবকের পরিবারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যুবকের মৃত্যুর কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই যুবকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup