মালদায় আবার শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। কালিয়াচকে দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষে জখম এক ব্যক্তি। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে এক টোটোচালক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর। রবিবার মাঝরাতে এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। আগেও একাধিকবার এই মালদা জেলায় শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে রাতের বেলায় সকলেই সতর্ক থাকেন। কিন্তু তারপরও এমন শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সোমবার সকালে এই ঘটনা নিয়ে এলাকার মোড় থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপির ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন মালদার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই দৌরাত্ম্যের শিকার হন এক টোটো চালক। তিনি গোটা ঘটনায় কোনওভাবেই জড়িত নন। এমনকী তিনি চেনেন না দু’পক্ষের কাউকেই। তারপরেও এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে গুলিবিদ্ধ হতে হল টোটো চালককে। মালদার মোজমপুরে যখন দু’পক্ষের মধ্যে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটে তখন হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই টোটো চালক। তারপরই গুলি ছুটে এসে লাগে গায়ে। আর তাতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই টোটো চালক। পরে পুলিশ এসে ওই টোটো চালকের মোবাইল থেকে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। আর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ ‘সময় নষ্ট’ কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের, উষ্মাপ্রকাশ অভিষেকের
অন্যদিকে দুই গোষ্ঠীর লাগাতার গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন টোটো চালক। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত টোটো চালকের নাম আমির শেখ। তাঁর বাড়ি ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখান থেকে কিছু দূরেই। কালিয়াচক থানার অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ এলাকায় বাড়ি জখম টোটো চালকের। আমির শেখ মোজমপুর থেকে আম নিয়ে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার জেরে সেই আম বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারলেন না। কারণ বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছিল। যার মাঝে পড়ে যান আমির। পর পর গুলি এসে তখন তাঁর টোটোর সামনের কাচ ভেঙে দেয়। গুলির দাগ আছে টোটোর অন্যান্য অংশেও।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আমির এই খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান। আর মোজমপুর থেকে উদ্ধার করে আমিরকে ততক্ষণে নিয়ে যাওয়া হয় সিলামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসা হওয়ার পর পরিবারের সহযোগিতাতেই আমিরকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন আমির। কালিয়াচক থানা এই ঘটনার পর অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও অভিযুক্তরা অধরা।