
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
সামাজিক দূরত্ব বিধি অমান্য করার জন্য কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বহরমপুরে কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করলেন কারখানা শ্রমিকরা।
শনিবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার এক সিমেন্ট কারখানার ৩৫০ শ্রমিক কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করলেন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানাভাব থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ জোর করে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য শুধু দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মাস্ক। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বিধি।
করোনা সংক্রমণের জেরে দেশব্যাপী লকডাউনের মাঝে সীমিত সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে কারখানা চালু করায় ছাড় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। জানা গিয়েছে, লকডাউন আরোপ হওয়ার আগে নামী ব্র্যান্ডের জন্য সিমেন্ট উৎপাদনকারী কারখানাটিতে ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন।
ওই দিন সকালে ঠিকাদারের জোগান দেওয়া ৩৫০ শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে সিমেন্ট কারখানার বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
কর্মী সংগঠনের সহকারী সম্পাদক সফিকুল শেখ জানিয়েছেন, ‘যখন ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কারখানা ফের চালু হল, আমরা প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু শুক্রবার রাতে কয়েকশো শ্রমিককে কাজে যোগ দিতে বলেন ঠিকাদার। শনিবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ৩৫০ শ্রমিককে জড়ো করা হয়। কারখানার আকার ছোট বলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা অসম্ভব। নিরাপত্তার জন্য সাধারণ মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করব না।’
কারখানার ১৭ জন ঠিকাদারের অন্যতম কৌশিক সাহা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার রাতে আমাকে কয়েক জন শ্রমিক জোগান দিতে বলা হয়। শুনেছি প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করতে অস্বীকার করেছেন।’
শ্রমিকদের বিক্ষোভের প্রতি নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই ধরনের সচেতনতা থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সহায়ক হবে।
অন্য দিকে, কারখানার জেনারেল ম্যানেজার অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় (পার্সোনেল) শ্রমিকদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, লকডাউনে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত বেতন চাইছেন শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হলে তাঁরা কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports