বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর শুরু ধরপাকড়ে রাজ্যে প্রায় রোজই খোঁজ মিলছে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের। এমনকী লাভলি খাতুন, নিউটন দাসের মতো বাংলাদেশি তৃণমূল নেতারও খোঁজ মিলেছে। আর এবার খোঁজ পাওয়া গেল বাংলাদেশি অতিথি অধ্যাপকের। এমনই কাণ্ড ঘটেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গনজ্ঞাপন বিভাগে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের নাগরিক শান্ত ভৌমিক। এর পর নাম বদলে শান ভৌমিক নামে ভারতীয় আধার ও ভোটার কার্ড বানায় সে। সেই নথি ব্যবহার করে ঋণ নিয়ে একটি মোটরসাইকেলও কেনে যুবক। যা তাঁর নামেই নথিভুক্ত রয়েছে। শিলিগুড়ির লেকটাউন এলাকায় বসবাস করত যুবক। পড়ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তর পাশ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকের পদে নিয়োগ পায় সে। কিন্তু শান্ত বাংলাদেশি এটা জানাজানি হওয়ার পরে দায় ঠেলার খেলা শুরু হয়েছে। ওদিকে বেপাত্তা অভিযুক্ত বাংলাদেশি।
ঘটনার তদন্তে নেমে জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস মহেন্দ্রনাথ রায়। এর পরই গনজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বরুণ রায়কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে জবাব দিতে বলেছেন তিনি।
ওদিকে ঋণদাতা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ির মাদার টেরেসা সরণির একটি ঠিকানা দেখিয়ে ঋণ নিয়েছেন ওই যুবক। তাঁকে ভারতীয় হিসাবেই ঋণ দেওয়া হয়েছে। কারণ বিদেশিদের ঋণ দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই তাদের সংস্থায়।