কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার কথা মনে হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন অপর্ণা–সুবোধ এমন পথ বেছে নিলেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কিনা সেটা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আত্মঘাতী অপর্ণা-সুবোধ
আজ, শনিবার এক রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান এবং তাঁর স্বামীর রহস্যমৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে হইচই। তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একদিন আগেও সবাই তাঁদের দেখতে পেয়েছেন। তারপরই এমন ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী–স্ত্রী কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে আত্মঘাতী হলেন সেটা সকলের কাছে অজানা। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এলাকায় খুব পরিচিত ছিলেন তাঁরা। মানুষের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁদের। বহু মানুষের উপকার করেছিলেন তাঁরা। এলাকার মানুষের সাহায্যে সবসময় এগিয়ে আসতেন। সেখানে এমন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। অপর্ণা ভট্টাচার্যের স্বামী সুবোধ আগে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য ছিলেন। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই হলেন সুবোধ। তাঁদের বাড়ি থেকে দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রতিবেশীরা চিন্তিত হয়ে পুলিশে খবর দিলে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। আর দেখেন, ঘরে পড়ে রয়েছেন দু’জনে। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।