ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার তপসিয়া অঞ্চলের পাইকআম্বী গ্রামে সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। এক ঘর থেকে উদ্ধার হল মা ও তাঁর সাড়ে তিন বছরের সন্তানের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা।
আরও পড়ুন: স্কুলের দোতলায় উদ্ধার শিক্ষকের দেহ, অতিরিক্ত চাপের কারণেই কী চরম পদক্ষেপ?
মৃত মহিলার নাম শিবাণী দেহুরী (২৫)। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে স্বামী মৃত্যঞ্জয় কর্মসূত্রে বেরিয়ে যান। পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউ ছিলেন মাঠে, কেউবা কাজে ব্যস্ত। ওই সময় ছেলেকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন শিবাণী। ভেবেছিলেন সকলে, হয়তো সন্তানকে ঘুম পাড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু বেলা বাড়তে থাকলেও ঘর থেকে বেরোলেন না শিবাণী। ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। অবশেষে দুপুরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই চমকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল শিবাণী ও তাঁর ছোট্ট ছেলে আবিরের দেহ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ। উদ্ধার করে মা-ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক মৃত্যু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এখনও তদন্ত চলছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একই জায়গা থেকে মা ও সন্তানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের মতে, শিবাণীদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালোই ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশেষ অশান্তি বা ঝগড়ার ঘটনাও শোনা যায়নি। তাঁদের ধারণা, হয়তো ছেলেকে ঘুম পাড়ানোর সময় অনিচ্ছাকৃত কোনও দুর্ঘটনা ঘটে। সেই শোকে দিশেহারা হয়ে আত্মঘাতী হন শিবাণী। তবে কেউ কেউ আবার মনে করছেন, পুরো ঘটনার পেছনে হয়তো অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে। দেহ দু’টির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।