নদিয়া জেলা সিপিএমের সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন মেঘলাল শেখ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রথম নদিয়া জেলায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন কোনও সংখ্যালঘু নেতা। তবে সূত্রের খবর সিপিএম অবশ্য বিষয়টিকে এভাবে দেখতে রাজি নয়। তবে অনেকের মতে, সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় ভরসা হল সংখ্যালঘুরা। তবে কি ধসে যাওয়া সংখ্য়ালঘু ভোট ব্যাঙ্ককে ফের ফেরত আনতেই কি এবার এই বিশেষ কৌশল নিল সিপিএম?
তবে বর্তমানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হিসাবে রয়েছে মহম্মদ সেলিম। তারপরেও সিপিএম শেষ পর্যন্ত কতটা সংখ্য়ালঘু অংশের মন ভেজাতে পেরেছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। বছর তিনেক আগে উত্তর দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদে সংখ্য়ালঘু নেতাকে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এবার সর্বসম্মতিক্রমে নদিয়া জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মেঘলাল শেখ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। নদিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ছিলেন তিনি। নবদ্বীপ ব্লকের স্বরূপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা তিনি। বয়স ৬৮ বছর। কয়েক বছর পরেই তিনি চলে যাবেন ৭০এর কোঠায়। দলের রাজ্য কমিটিরও সদস্য তিনি। তবে ভেঙে পড়া সিপিএমকে ফের চাঙা করার গুরু দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এতদিন পর্যন্ত নদিয়া সিপিএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন সুমিত দে।কিন্তু সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুসারে এক ব্যক্তি তিনটি স্তরে থাকতে পারেন না। অথচ সুমিত দে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সেক্ষেত্রে এবার তিনি আর জেলা সম্পাদক থাকছেন না। সেই জায়গায় এবার জেলা সম্পাদক হলেন মেঘলাল শেখ।
তবে পরবর্তী জেলা সম্পাদক হিসাবে মেঘলাল শেখের নাম নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছিল না। বরং সুমিত বিশ্বাস ও অলকেশ দাসের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে এই দুটি নামের ক্ষেত্রেই সর্বসম্মতিক্রমে কতটা সায় দেবেন নেতৃত্ব তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা ছিল। কিছুটা মতান্তর ছিল দলের অন্দরেই। এরপরই সেই আগের পদ্ধতি প্রয়োগ করল সিপিএম। অর্থাৎ কোনও নাম নিয়ে দলের অন্দরে মতান্তর থাকলে তখন তৃতীয় ব্যক্তিকে বেছে নেয় দল। এক্ষেত্রেও দল সেই পদ্ধতিই মেনে নিয়েছে বলে খবর।
জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকে মেঘলালের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।সিপিএম নেত্রী রমা বিশ্বাস এই নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে মেঘলাল শেখকে দলের নদিয়া জেলা সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হল।
নদিয়া সিপিএম সূত্রে খবর নদিয়া জেলা ২৫তম সম্মেলন থেকে৬০ জনের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সম্পাদক করা হয়েছে মেঘলাল শেখকে।