বর্ধমান শহর শনিবার বিকেলে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নিল কংগ্রেসের বিক্ষোভকে ঘিরে। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগের প্রতিবাদে জেলা কংগ্রেস বিজেপির জেলা কার্যালয় অভিযানের ডাক দেয়। আর সেই কর্মসূচি ঘিরেই মুখোমুখি চলে আসে দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেষ পর্যন্ত নামাতে হয় র্যাফ। অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিতে কালি লাগিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিধানভবনে হামলার প্রতিবাদে বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের
শনিবার বিকেলে বড়নীলপুর মোড় থেকে কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। স্লোগান তুলে এগোতে থাকেন বিজেপির জেলা কার্যালয়ের দিকে। অভিযোগ, তখনই পাল্টা পথে নামে বিজেপির কর্মীরা। দুই পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। প্রায় হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও র্যাফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, শুক্রবার কলকাতায় বিধান ভবনে বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুর চালায়। দলীয় পতাকা পোড়ানো হয়, রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি দেওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই বর্ধমানে পথে নামেন হাত শিবিরের কর্মী সমর্থকরা।
এক কংগ্রেস নেতা বলেন, বিজেপির হার্মাদরা প্রদেশ কংগ্রেসের দফতরে আক্রমণ চালিয়েছে। কংগ্রেস হিংসার রাজনীতি করে না, তাই পতাকা পোড়াইনি। শুধু প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মোদীর ছবিতে কালি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির এক নেতা বলেন, কংগ্রেস বরাবরই নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিজেপির দলীয় পতাকা পোড়ানোর চেষ্টা করেছে ওরা। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে। দুর্নীতির দায়েও কংগ্রেস ডুবে আছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল। সেই রেশেই কলকাতা থেকে বর্ধমান দুই জায়গাতেই কংগ্রেস-বিজেপি সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে।