কয়েকদিন আগে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। সেখানে উল্লেখ করা হয়, অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না? তার জবাব দিতে হবে ২৪ মার্চ। ২৯ মার্চ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সশরীরে বা তাঁর কোন প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিসের কাছে শুনানির জন্য হাজির হতে হবে।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-অমর্ত্য সেন
জমি বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে বিশ্বভারতী বনাম অমর্ত্য সেনের। এই জমি বিতর্ক নিয়ে শুনানি ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এখন শান্তিনিকেতনের বাড়িতে নেই অমর্ত্য সেন। তাই হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। আর এই হাজিরার জন্য তিন মাস সময় চেয়ে আবার চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী। কিন্তু ই–মেল করে অমর্ত্য সেনকে ফের ‘জমি দখলকারী’ বলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তোপ দেগেছেন বলে দাবি বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ’র। আগেও এই হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
এদিকে এই জমি বিতর্ক কিছুতেই মিটছে না। কয়েকদিন আগে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতী। সেখানে উল্লেখ করা হয়, অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না? তার জবাব দিতে হবে ২৪ মার্চ। ২৯ মার্চ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সশরীরে বা তাঁর কোন প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিসের কাছে শুনানির জন্য হাজির হতে হবে। এই চিঠি পেয়ে আইনজীবী পাল্টা চিঠি দিয়ে চার মাসের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বভারতী মাত্র ১০ দিন সময় দেয়। এই বিষয়ে আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, ‘স্যার এই মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন। তাই ১০ দিনের মধ্যে আমাদের পক্ষে সব নথি–সহ বিশ্বভারতীর কাছে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। চিঠি দিয়ে আমাদের অন্তত তিন মাস সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’ কিন্তু সেটা মঞ্জুর হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ দাবি করেছে, একাধিক বিষয়ে তারা উপাচার্যকে ই–মেল করলেও তিনি উত্তর দেননি। শুক্রবার উপাচার্যের ই–মেল আইডি থেকে ভিবিইউএফএ’র কাছে একাধিক ই–মেল আসে। সেখানে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘এই সব বদমায়েশ প্রকাশ্যে আসুক। মিথ্যা অহঙ্কারে নিজেদের যেন আড়াল করে না রাখে। আমি এই বদমায়েশদের অনুরোধ করছি, ইঁদুরের মতো আচরণ না করার জন্য।’ এই বিষয়ে ভিবিইউএফএ’র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিন্দার ভাষা নেই। উপাচার্য নিজের ই–মেল থেকে অধ্যাপকদের কুকথা বললেন।’