দুর্গাপুজো শুরু হতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। উৎসবের ছুটিতে প্রকৃতির টানে ডুয়ার্সে ভিড় জমাতে চলেছেন অসংখ্য পর্যটক। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টেগুলিতে প্রায় ৫০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। তবে বুকিং আরও বাড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রেনের টিকিট সঙ্কট। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে চাওয়া বহু পর্যটকই টিকিট না পেয়ে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে রেলের কাছে স্পেশাল ট্রেন চালুর দাবি তুলেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: পুজোয় খাবারের স্টলে ভেজাল রুখতে বিশেষ নজরদারিতে নামছে কলকাতা পুরসভা
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মরশুমে ডুয়ার্সে পর্যটকদের সাড়া বেশ ভালো। তবে ডুয়ার্সগামী প্রায় সব ট্রেনই এখন ওয়েটিং লিস্ট বা রিগ্রেটে চলছে। ফলে নিশ্চিত টিকিটের অভাবে অনেকেই আসার পরিকল্পনা থেকে সরে যাচ্ছেন।সংগঠনগুলির সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, এখনও পর্যন্ত হোটেল ও রিসর্টে পঞ্চাশ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। যদি রেল স্পেশাল ট্রেন চালায়, তাহলে অবশিষ্ট বুকিংও খুব দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই আলিপুরদুয়ার ডিআরএমের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, ডুয়ার্সে গোরুমারা, চাপরামারি, জলদাপাড়া, বক্সা, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া-সহ একাধিক অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান রয়েছে। পাশাপাশি চিলাপাতা, মাদারিহাট বা সামসি ভুটানের মতো প্রত্যন্ত এলাকা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়। শুধু বন্যপ্রাণী দর্শন নয়, পাহাড়, জঙ্গল ও নদীর মেলবন্ধনে ভরা এই অঞ্চলের সৌন্দর্যই পুজোর সময়ে পর্যটকদের টানে।
স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের দাবি, পর্যটকরা সময়মতো ট্রেন পেলে হোটেল ও রিসর্ট মালিকরা তাঁদের নতুন জায়গা যেমন কাঠামবাড়ি ফরেস্ট, ডামডিং মনেস্ট্রি বা বাগরাকোটের লুপ ব্রিজ ঘুরে দেখার পরামর্শও দিতে পারবেন। পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এ বছর পুজোর মরশুমে অন্তত ৩শো’র বেশি হোটেল ও রিসর্ট পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ট্রেন না পাওয়া গেলে বহু বুকিং বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই এখনই যদি রেল স্পেশাল ট্রেন চালুর ঘোষণা করে, তবে ব্যবসায়িক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা যাবে এবং পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ডুয়ার্সের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।