দেবীপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত মায়ের পুজো হয়। এই পাঁচদিন দেবীপক্ষের সবচেয়ে গুরুত্ববাহী দিন। তাই এমন দিনে কিছু কাজ করা একেবারেই উচিত নয়। এতে মায়ের কৃপা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। জ্যোতিষ ও বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র মতে, এই কাজগুলি ব্যক্তিগত জীবনের অশান্তির সূচনা ঘটায়। অন্যদিকে এমন কাজ ভুল করেও করলে কেরিয়ারে প্রভাব পড়তে পারে। কোন কোন কাজ এই পাঁচদিন এড়িয়ে চলবেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
মায়ের আশীর্বাদ পেতে মানুন এই ৫ রীতি
১. দিবানিদ্রা ত্যাগ করুন - পুজোর পুণ্যলগ্নে আশপাশ মাতোয়ারা। আপনিও যদি মায়ের আশীর্বাদ যথার্থ ভক্তিসহকারে পেতে চান, তাহলে দিবানিদ্রার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। বিষ্ণুপুরাণ বলছে, অতি শুভ কাজও ভেস্তে দিতে পারে দিবানিদ্রার অভ্যাস। তাই পুজোর পাঁচদিন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটান। কিন্তু ভুলেও দিবানিদ্রা নয়।
২. স্থাপিত ঘটের যত্ন নিন - মা দুর্গার আগমন উপলক্ষে যে ঘট স্থাপন করেছেন তার যত্ন নিতে হবে। ঘটকে অপবিত্র করা যাবে না। ঘটে জল ভর্তি রয়েছে কি না খেয়াল রাখতে হবে।
(আরও পড়ুন - বৃশ্চিকে এন্ট্রি বুধ ও মঙ্গলের! টাকার বন্যায় ভাসবে অ্যাকাউন্ট, লাকি লিস্টে কারা?
আরও পড়ুন - ঘরের সামনে পিপল গাছ থাকা শুভ না অশুভ? বাস্তু মতে কী করা উচিত, জেনে নিন প্রতিকার)
৩. নখ, চুল কাটা যাবে না - দাড়ি, নখ, চুল কাটা যাবে না এই দিন। পুজোর পাঁচদিন কোনও প্রকার ক্ষৌরকর্ম করা থেকে বিরত থাকুন। নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞরা।
৪. অখণ্ড জ্যোতি সবসময় জ্বালিয়ে রাখুন - দুর্গোৎসব উপলক্ষে বহু বাড়িতেই দীপ জ্বালানোর রেওয়াজ রয়েছে। আপনার বাড়িতেও যদি তেমন কোনও দীপ জ্বালান তাহলে সেটি যাতে নিভে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পাঁচদিন নিয়মিত জ্বালিয়ে রাখতে হবে এই দীপ।
৫. আমিষ খাবার বর্জন করুন - আপনি যদি পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন, তাহলে পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি বর্জন করতে হবে পুজোর পাঁচদিন। শুদ্ধ আচারে পুজো করতে হলে এই পাঁচদিন নিরামিষ খাবার খাওয়াই রীতি। তাই আমিষ খাবার এই পাঁচদিন ত্যাগ করতে হবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।