ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম ডোপিং। ২০২২ সালে ডোপিং বা ড্রাগকাণ্ডে ভারতই সবার আগে ছিল গোটা বিশেবের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে, এই তালিকা প্রকাশ করেছিল খোদ ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা ওয়াডা। জানুয়ারি ২০২২ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালের মধ্যে ৩৮৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এর মধ্যে ১২৫টি ফেরত আসে অ্যাডভার্স অ্যানালিটিকাল ফাইনিং হিসেবে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতের সেই নমুনাগুলোর মধ্যে ১০০র বেশি পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে।
আরও পড়ুন-ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
ওয়াডার তালিকায় লজ্জার রেকর্ডে সামিল ভারত-
ওয়াডার দ্বারা দাবি করা হয়েছে, ভারতই গত দশ বছরে ছোটদের মধ্যে ডোপিংয়ে সব থেকে খারাপ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। অর্থাৎ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সবার আগে ডোপিংয়ে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। এরপর ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় নামটাই ভারত। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরেক বিশাল দেশ চিন।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
ডোপিং ভারতের সব থেকে বড় শত্রু-
তাই ভারতের হয়ে পরপর দুই অলিম্পিক্সে দেশকে পদক এনে দেওয়া জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়ার কাছেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেশে ডোপিং বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে। আর তা শুনেই বেশ হতাশ দেখাল হরিয়ানার এই ছেলেকে। এক পডকাস্টে তিনি বললেন, ‘ভারতে সমস্ত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ডোপিং একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি আমার দেশের ক্রীড়াবিদদের একটা কথা বলতে চাই, যদি ডোপিংয়ের দিকে মন একবার চলে যায় তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাবে। ’।
আরও পড়ুন-পিঠে খিঁচ মনে হচ্ছে না! বুমরাহর চোট নিয়ে ভারতীয় শিবিরের অন্দরের খবরে অবিশ্বাস পন্টিংয়ের
ডোপিংয়ে পারফরমেন্স বাড়ে না-
নীরজ বলছেন, ‘অনেকেই ভাবে ডোপিং তাঁদের পারফরমেন্সের উন্নতি করাতে পারবে। কিন্তু সেটা একদমই নয়। ভালো পারফরমেন্সের জন্য নিজের ওপর ভরসা, সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম আর কোচের ঠিকঠাক পরামর্শই একমাত্র প্রয়োজন। একটা বাস্তব বুঝতে হবে, যখন ডোপ টেস্টে কেউ ধরা পড়ে তারপর ২-৪ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়ে যায়। এরপর আর কোনও জীবন থাকে না খেলায়। তাই খেলোয়াড়দের যদি নিজেদের সেরাটা দিতে হয়, তাহলে তাঁদের মানসিকতা বদলাতে হবে। আমি কোচদের অনুরোধ করব, যাতে ওরা বোঝায় যে ডোপিং করা অনুচিত এবং কেরিয়ারের জন্য ক্ষতিকর ’।
আরও পড়ুন-BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
ডোপিংয়ের সংখ্যা কমাতে হবে ছোটদের মধ্যে-
নীরজ বলেন, ‘আমার মনে হয় ডোপিং সংখ্যা কমলে, আমাদের দেশের খেলারও উন্নতি হবে। এখন যেটা সমস্যা সেটা হচ্ছে, কোনও ছোট ছেলে যখন ভালো খেলা শুরু করে, তারপরই দেখা যায় ডোপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। বাইরে খাওয়ার বিষয় ক্রীড়াবিদদের অনেক সতর্ক হতে হবে ’। নাডার রিপোর্ট অনুযায়ী এপ্রিল ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩র মধ্যে মোট ১৪২জন ভারতীয় অ্যাথলিট ডোপ টেস্টে ধরে পড়েছে। এমনকি ক্রিকেটাররাও নাকি এর থেকে বাদ পড়েননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।