
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মেয়ের বিয়ের মাত্র ১০ দিন বাকি ছিল। বিয়েকে কেন্দ্র করে জোর প্রস্তুতি চলছিল মেয়ের পরিবারে। বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে আত্মীয়দের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল। হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন খোদ পাত্রীর মা। এমনই ঘটনায় হতবাক দুটি পরিবার এবং স্থানীয়রা। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদ্রাক থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের বাসিন্দা অনিতা শুধু হবু জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়েই যাননি, মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো লক্ষাধিক টাকা এবং লক্ষাধিক মূল্যের সোনার গহনাও সঙ্গে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: নববধূর গা থেকে সোনার গয়না খুলে নিলেন ননদ, ভাত নরম হয়ে যাওয়ায় ভাঙচুর বরযাত্রীদের!
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৬ এপ্রিল বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার ১০ দিন আগে গত ৬ এপ্রিল হবু জামাই রাহুলের সঙ্গে পালিয়ে যান অনিতা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন অনিতার স্বামী জিতেন্দ্র কুমার। পুলিশ তাঁদের দ্রুত খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছে। পাত্রীর অভিযোগ, তাঁর মা বাড়িতে থাকা সমস্ত টাকা এবং গহনা নিয়ে পালিয়েছেন। ১০ টাকাও রেখে যাননি। তিনি বলেন, ‘রাহুলের সঙ্গে আগামী ১৬ এপ্রিল আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গত রবিবার আমার মা তাঁর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে।’ তিনি আরও জানান, রাহুলের সঙ্গে তাঁর মা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলতেন। গত তিন-চার মাস ধরে তাঁদের কথা হতো। আলমারিতে থাকা ৩.৫ লক্ষ নগদ টাকা আর ৫ লক্ষ টাকারও বেশি দামের গয়না ছিল। রাহুলের কথায় তাঁর মা সবকিছু নিয়ে গিয়েছেন। পাত্রীর কথায়, ‘তাঁরা এখন যা খুশি করতে পারে। আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা শুধু চাই টাকা এবং গয়না আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
জানা গিয়েছে, পাত্রীর বাবা জিতেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে একটি ব্যবসা করেন। স্ত্রীর সঙ্গে হবু জামাইয়ের ফোনে কথা বলার বিষয়টি তিনিও জানতে পেরেছিলেন। তবে বিয়ে এগিয়ে আসায় কোনও কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘হবু জামাই আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন। আমি জানতে পেরেছিলাম গত তিন মাস ধরে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে কথা বলতেন।’ তিনি জানান, স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারেননি। হবু জামাই রাহুলকে ফোন করলে প্রথমের দিকে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। পরে রাহুল ফোনে জিতেন্দ্রকে বলেন, ২০ বছর ধরে অনিতাকে কষ্ট দিয়ে আসছেন। এখন তাঁর উচিত তাঁকে ভুলে যাওয়া উচিত। এবিষয়ে মাদ্রাক থানার একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports