সদ্য ইউকে সফরে গিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কূটনৈতিক দিক থেকে সেই ঘটনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই এবার পশ্চিমের আরও এক দেশ থেকে এল ঢাকার জন্য নয়া ধাক্কা! বাংলাদেশের ওপর এবার ক্ষোভে ফুঁসছে ইউক্রেন! এর নেপথ্যে রয়েছে ‘চুরি যাওয়া গম’ ঘিরে এক বড়সড় অভিযোগ।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল থেকে সংগৃহিত গম, বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে। ইউক্রেনের আর্জি, চুরির এই গম আমদানি করায় বাংলাদেশের ওই প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর যাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (EU)। উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে বর্তমানে বেশ কয়েক বছর ধরে যুদ্ধে রয়েছে রাশিয়া। আর সেই যুদ্ধের পথ ধরে রাশিয়া, ইউক্রেনের বহু জায়গা দখল করে রেখেছে বলে দাবি কিয়েভের। এদিকে, ঢাকাকে কার্যত এই 'চুরির গম' আমদানি কাণ্ডে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের এক দক্ষিণ এশিয়া ভিত্তিক শীর্ষ কূটনীতিক বলছেন, ওই চুরি হওয়া গম আমদানি না করার বার্তা একাধিকবার ঢাকা দেওয়া হয়, সতর্কও করা হয়, তারপরও এই চুরির গম আমদানির বাণিজ্য বন্ধ করেনি বাংলাদেশ। আর সেই কারণেই এমন চরম পথে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন, বলে তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান।
( আসছে শ্রাবণ ২০২৫! শিবের প্রিয় মাসে মিথুন সহ ৫ রাশির কপালে সমৃদ্ধির জোয়ার)
( টেনশনের দিন শেষ! ২৯ জুন থেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরবে কর্কট সহ ৩ রাশির, কী কী লাভ?)
উল্লেখ্য, রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, ইউক্রেনের একটা বড় অংশের কৃষিভূমি দখল করে রেখেছে রাশিয়া। তা ২০২২ সালের যুদ্ধেরও বহু আগে থেকে চলেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ২০১৪ সাল থেকে এই কৃষিভূমি রাশিয়া দখলে রেখেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিয়েভের দাবি, মস্কো, ইউক্রেনের ওই দখল করা এলাকার গম চুরি করছে। এদিকে, রাশিয়া বলছে, যে জায়গা আগে ইউক্রেনের ছিল, অথচ বর্তমানে রাশিয়ার অধীনে, সেখান থেকে কৃষিপণ্য নেওয়াকে ‘চুরি’ বলা যায় না।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, নয়া দিল্লিতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস থেকে এই ‘চুরির গম’ আমদানি কাণ্ডে একের পর এক চিঠি বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরে চিঠি গিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাভাকাজ বন্দর থেকে রওনা হওয়া জাহাজে থাকা ১৫০,০০০ টনের শস্য মূলত চুরি হওয়া শস্য, আর তাকে খারিজ করার জন্য বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ করে ইউক্রেন। ভারতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূত ওকেলজান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছেন, ঢাকা এই নিয়ে কোনও কথা বলেনি। তবে ইউক্রেন বিষয়টি নিয়ে এবার সরব হবে বলেও জানিয়েছেন। কিয়েভের দাবি, তাদের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের জমি থেকে তোলা গম রাশিয়া মিশিয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে। আর তা করা হচ্ছে রপ্তানির ঠিক আগে।