প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
শপথ গ্রহণের ঘন্টা তিনেক কেটেছে সবে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তিপ্রা মোথার নেতা প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গে। ২০২১ সালে তৈরি হয়েছিল তিপ্রা মোথা। কিছুদিনের মধ্যে ত্রিপুরাবাসীর মনে দাগ কাটতে শুরু করে ওই দল। এবারের বিধানসভা ভোটে ১৩টি আসন পেয়েছে তিপ্রা মোথা।
বুধবার শপথগ্রহণের পরেই দুপুর ২টো নাগাদ স্টেট গেস্ট হাউসে এসেছিলেন। ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে তিনি মিটিংয়ে বসেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, আদিবাসীদের উন্নয়ন নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে একাধিক মিটিং আমাদের হতে চলেছে।
এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগের দিন তিপ্রা মোথার প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন জানিয়েছেন রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়ন নিয়ে কোনও সাংবিধানিক সমাধান না হলে আমাদের পক্ষে সরকারের শরিক হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে ত্রিপুরায় কার্যত উল্কাগতিতে উত্থান হয়েছিল তিপরা মোথার। ২৮ আসনের ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলে ক্ষমতায় আসে তিপরা মোথা। তবে প্রথম থেকে তাদের অন্যতম দাবি গ্রেটার তিপরাল্যান্ড। এদিকে তারা এবার ৪২টি আসনে লড়াই করেছিল। তার মধ্য়ে তারা ১৩টি আসনে জয় পান।
এদিকে এর আগে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট উভয়ই তিপ্রা মোথাকে তাদের দলের মধ্য়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তখনই তিপ্রা মোথা জানিয়ে দিয়েছিল লিখিতভাবে কোনও দল যদি সাংবিধানিক সমাধান করার আশ্বাস দেয় তবেই তারা সেই দলের সঙ্গে শরিক হতে পারে। তবে কোনও দলই সেই লিখিত আশ্বাস দেয়নি। এরপর তিপ্রা মোথা এককভাবে লড়াই করে।
এদিকে বুধবার ৯জন মন্ত্রীর কাউন্সিল এদিন শপথগ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহা শপথ নিয়েছেন এদিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও একাধিক পদস্থ নেতা এদিন আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে উপস্থিত ছিলেন।